ক্লাসরুমে বসে অরণ্যর নোটবুক দেখে প্রয়োজনীয় জিনিস নোট করছিলাম।অরণ্য জানালার কাছে দাড়িয়ে আকাশের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে।মন বলছে গিয়ে মুখে ডিম ভরে দিই।যাইহোক লেখাতে মন দিলাম।
--ঐশী চলো আকাশ দেখি!(অরণ্য)
মাথাটা কোনোমতে তুলে অরণ্যর দিকে তাকিয়ে বললাম
--কেনো আকাশের কি আজ রূপ বের হয়েছে নাকি?
--সব কিছুতে এমন করা ভালো না ঐশী!
খাতা কলম ব্যাগ রেখে খানিকটা রাগি সুরে বললাম
--চল দেখি আকাশের কি হয়েছে!
রেগে রেগে আসতে গিয়ে বেঞ্চে লাগলো ডানপায়ে
--আওওওওওওওও
--কি হলো!
--ইশশশ পায়ে খুব লেগেছে রে।তোর আকাশ দেখার ইয়ে করি হালা।
মুহূর্তেই অরণ্যর মুখটা দেখার মত হয়ে গেলো।সামান্য গালি দিলেই বেচারা যেনো নেই হয়ে যায়।
--সরি ঐশী আমার জন্য তোমাকে এত কষ্ট পেতে হলো।
--থাক এখন আর সরি বলে কাজ নেই।ব্যথা তো আর কমে যাবে না তাইনা।চল বাড়ি যাব
--ক্লাস করবে না?
--তুই কর তোর ক্লাস।আমি আর তুই ছাড়া ক্লাসে কেউ থাকে কখনো?তুই একাই ক্লাস কর।আমি গেলাম।
ব্যাগ গুছিয়ে ক্লাসরুম থেকে বেরিয়ে আসলাম।মেজাজের ফালুদা বানায়ে দিছে আজকে।ইশ পায়ে খুব ব্যথা করছে।অরণ্যর উচিত আমাকে বাসায় পৌছে দেওয়া কিন্তু দেখো হাদারাম ক্লাসের বাইরেই বেরুলো না।জাস্ট গো টু হেল।
একটা অটো ডেকে উঠে পড়লাম।বাসার সামনে নেমে ভাড়া মিটিয়ে গেটে ঢুকতে গিয়ে মাথায় লাগলো বারি।কিসে লাগলো দেখতে গিয়ে আমি পুরোই হা হয়ে গেলাম।পুরো আকাশটাই নীললললললল।সাথে সাদা সাদা তুলোর মত মেঘ।এমন একটা আকাশ দেখার ইচ্ছে ছিল অনেকদিনের।আজকে এভাবে দেখতে পাব ভাবি নি।গেট টাকে জড়িয়ে ধরে একটা চুমো খেতে ইচ্ছে হচ্ছে।মাথায় না লাগলে তো আকাশটাকে দেখতেই পেতাম না।ওহ অরণ্যকেও একটা চুমু দেওয়া উচিত। হিহি।
দৌড়ে রুমে গেলাম।ব্যাগ রেখে তড়িঘড়ি করে ফ্রেশ হলাম ছাদে উঠে আকাশের সাথে সেলফি তুলবো বলে।
ছাদে উঠতে গিয়ে টের পেলাম পায়ে কতটা ব্যথা লেগেছে।পিছন থেকে আম্মা বলছে
--ওই ঐশী অবেলায় ছাদে দৌড়াচ্ছিস কি জন্য? আজকে ক্লাস করিস নি?
--এসে বলছি আম্মা।
ছাদে উঠে আকাশের সাথে সেলফি তুললাম।অরণ্যর কথা বারবার মনে পড়ছে। এদিকে দুর্ভাগ্যবশত কপালের আবটাও উঠেছে সেলফি গুলোতে।এরপর আর কি। আকাশের দিকে তাকাচ্ছি আর মুচকি মুচকি হাসছি।আকাশকে পুরোই রাজপুত্রের মত লাগছে।পিছনে কখন আম্মা এসে দাড়িয়েছে খেয়াল করি নি।
--তোর মত পাগলী আমি কোথাও দেখিনি।একা একা হাসছিস কেন?
--ওটা তুমি বুঝবে না। চলো খেতে দাও।
--কপালে কে মেরেছে?এতখানি ফুলেছে কেন?
--শুধু কপাল না পায়েও লেগেছে।মুভ লাগালেই ঠিক হয়ে যাবে। এখন চলো তো।
.
রাত ৮টা
অরণ্য আজকে কল করে নি।ব্যাপার কি মারা-টারা গেলো নাকি!টানা পাঁচবার কল করার পর লাটসাহেব কল রিসিভ করলেন
--ওই হালা কল রিসিভ করতে এত লেইট হয় কেনো?
--বলো। কেমন আছো?
--পায়ে ব্যথা কপালে ব্যথা নিয়ে আমি খুব ভালো আছি।
--কপালে ব্যথা কি জন্য?
--মনে নেই। আচ্ছা রাখছি।
মাঝে মাঝে মন খারাপের রোগ আছে আমার।এখন যেমন হঠাৎ মন খারাপ হয়ে গেলো। যাইহোক ফোন রেখে টিভি দেখতে লাগলাম।
পরদিন ক্লাসে গেলাম না।শরীরটা ম্যাজম্যাজ করছে।সকালে আমার বান্ধবী লাবণী ফোন দিয়েছিলো।যেই বলেছি আমার শরীর ভালো লাগছে না অমনি আমাকে দেখতে আসার জন্য মরে যেতে লাগলো।আসলে ও তো আমায় দেখতে আসবে না আসবে ওর জানুর সাথে প্রেম করতে।উফ ওদের লুতুপুতু দেখলে শরীর আরো খারাপ করবে। আবার মানাও করতে পারবো না।
.
বিকেলের দিকে হাতে কয়েকটা কমলালেবু সমেত লাবণী আর ওর বয়ফ্রেন্ড লিখনের আগমন।
--লাবণী তুই দিনদিন এত পাল্টে যাচ্ছিস কিভাবে বলতো?
--সুন্দর হচ্ছি তাইনা।
--কচু।দিনদিন পেঁচীর মত হচ্ছিস।হিহিহিহি
--উফ ঐশী তুই না খুব খারাপ।তোর সাথে কথা নাই।
এটা বলেই মহারাণী বাইরে চলে গেলেন।পিছনে পিছনে লিখনও চলে গেল।এরা কি এবার চলে যাবে নাকি?যাক গে আমার জ্বালায় আমি মরে গেলাম।
.
পরদিন ক্লাসে গিয়ে দেখলাম এক আজব কাহিনি।অরণ্যর পায়ে কিছু একটাতে লেগে মারাত্মক ফুলে গেছে।আমারটার চাইতেও বেশি।
--কিরে এটা হলো কিভাবে?
--জানি না।ঘুম থেকে উঠে দেখি পায়ের এই অবস্থা।
আমার মন বলছে অরণ্য মিথ্যা বলছে।কেউ ইচ্ছে করে ডানহাত দিয়ে বামপায়ে আঘাত করেছে মনে হচ্ছে।অরণ্য এমন করলো কেনো?কারণটা কি আমি?আমি ব্যথা পেয়েছি বলে অরণ্যও নিজেকে ব্যথা দিয়েছে?নাকি ব্যাপারটা কাকতালীয়?রহস্যের গন্ধ পাচ্ছি। পরীক্ষা করে দেখতে হবে.....উহহ দারুন এক্সাইটেড লাগছে।কাল থেকে শুরু হবে পরীক্ষা....
.
পরদিন বিকেলে
--অরণ্য আজ একটু ক্যাম্পাসে আসতে পারবি?
--হ্যা।কি দরকার?
--আসলেই বুঝতে পারবি।সারপ্রাইজ।
কল কেটে দিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম।যাক এবার একটা ভালবাসার মানুষ পাওয়া গেলো তাহলে।
বিকেলে আমার বেস্টফ্রেন্ড মিতুলকে সাথে নিয়ে অরণ্যর সাথে দেখা করতে আসলাম।অরণ্যকে দেখে বোঝা যাচ্ছে না ও দুঃখ পেয়েছে কিনা!বেশ ঘটা করেই বললাম এটা আমার বয়ফ্রেন্ড।অরণ্য বেশ হাসিহাসি মুখ নিয়ে বললো কংগ্রাচুলেশনস। আমারই মনটা খারাপ হয়ে গেল।অরণ্যর একটু হলেও তো মন খারাপ করার দরকার ছিলো কিন্তু না ও একদম স্বাভাবিক।ধুর বোঝা যাচ্ছে অরণ্য আমাকে ভালবাসে না।
.
রাতে অরণ্য ফোন দিয়ে বললো
--তোমাদের প্রেম কেমন চলছে ঐশী?
আমি তো জাস্ট অবাক।কোথায় অরণ্যর এখন দেবদাসের মত অবস্থা হবে তা না দিব্যি নরমাল বিহেভ করছে।আমার খুব রাগ হচ্ছে।
--ভালো চলছে।তুই এখন ফোন রাখ।
--ওকে রেখে দিচ্ছি।
.
পরদিন ক্যাম্পাসে গিয়ে অরণ্যর সাথে বসলাম।স্বাভাবিক ভাবেই কথাবার্তা হচ্ছে।আমি ওর খাতা দেখে নোট করছি।হঠাৎ খেয়াল করলাম অরণ্য আমার দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
--কিরে এভাবে তাকিয়ে আছিস কেনো?কাচা খেয়ে ফেলবি নাকি?
--তুমি আজ এত রেগে আছো কেনো ঐশী? তোমাকে বেশ সুন্দর দেখাচ্ছে।
অরণ্যর মুখে প্রশংসা শুনে বেশ ভালো লাগছে।আরএকটু রাগি লুক আনার চেষ্টা করলাম।
--উহু তোমাকে আর ভালো দেখাচ্ছে না।তুমি ইচ্ছে করে রাগি লুক আনার চেষ্টা করছো।
এই সেরেছে রে।ধরে ফেললো কিভাবে!যাইহোক ও এখনো আমাকে প্রপোজ করছে না কেনো?ভালবাসে না নাকি আমাকে?আমি এই দুদিনে ওকে এত ভালবেসে ফেললাম কিভাবে।কতটা মিস করেছি ওকে।গরুটা প্রপোজ করবে কখন!!!
.
দেখতে দেখতে পাঁচদিন অতিবাহিত হয়ে গেল।গরুটা আমায় প্রপোজ করে নি।একেবারে নরমাল বিহেভ করছে আমার সাথে।আমার খুব কষ্ট লেগেছে এ কদিনে।কোথা থেকে এসে মহারাজ বসলো আমার পাশে।
--কিরে মন খারাপ কেনো?
ওর মুখে তুই ডাক শুনে মনটা আরো খারাপ হয়ে গেলো।
--এমনি।
--মন খারাপ করতে হবে না।এই নে গোলাপ...I love u!এটাই তো শুনতে চেয়েছিলি তাইনা। I love u I love u I love u...আমি জানি তুইও আমাকে ভালোবাসিস।তুই করে বলছি বলে রাগ করিস না।আমার জানুকে তুই করেই বলার শখ আমার। আর তুই আমাকে তুমি করে বলবি।
আমি শুধু অবাক হয়ে অরণ্যর কথা শুনছি।কিছুটা মোহের ভিতর চলে গেছি আমি।অনেক কান্না পাচ্ছে আমার।
--কাঁদছিস কেনো?I love u too বলবি না?
--তুমি জানতা মিতুলের সাথে আমি অভিনয় করেছিলাম?
--আমি তোকে সেই ৪বছর থেকে চিনি।তুই কখন কি করতে পারিস সব আমার জানা!
--ও....
আবার মন খারাপ হয়ে গেলো।বারবার চেষ্টা করছি মন ভালো করার বাট হচ্ছে না।হঠাৎ অরণ্য আমার ডানহাতটা নিয়ে কনিষ্ঠ আঙুলে ছোট্ট একটা কামড় দিলো।আমি জাস্ট অবাক এটাও মনে আছে ওর যে মন খারাপের সময় কেউ ডানহাতের কনিষ্ঠ আঙুলে কামড় দিলে মন ভালো হয়ে যায়।আমি অরণ্যর দিকে তাকিয়ে আস্তে করে বললাম
--I love u too অরণ্য.....
অরণ্য কিছু বললো না।আমার দিকে তাকিয়েই মুচকি একটা হাসি দিল।
.
--ঐশী চলো আকাশ দেখি!(অরণ্য)
মাথাটা কোনোমতে তুলে অরণ্যর দিকে তাকিয়ে বললাম
--কেনো আকাশের কি আজ রূপ বের হয়েছে নাকি?
--সব কিছুতে এমন করা ভালো না ঐশী!
খাতা কলম ব্যাগ রেখে খানিকটা রাগি সুরে বললাম
--চল দেখি আকাশের কি হয়েছে!
রেগে রেগে আসতে গিয়ে বেঞ্চে লাগলো ডানপায়ে
--আওওওওওওওও
--কি হলো!
--ইশশশ পায়ে খুব লেগেছে রে।তোর আকাশ দেখার ইয়ে করি হালা।
মুহূর্তেই অরণ্যর মুখটা দেখার মত হয়ে গেলো।সামান্য গালি দিলেই বেচারা যেনো নেই হয়ে যায়।
--সরি ঐশী আমার জন্য তোমাকে এত কষ্ট পেতে হলো।
--থাক এখন আর সরি বলে কাজ নেই।ব্যথা তো আর কমে যাবে না তাইনা।চল বাড়ি যাব
--ক্লাস করবে না?
--তুই কর তোর ক্লাস।আমি আর তুই ছাড়া ক্লাসে কেউ থাকে কখনো?তুই একাই ক্লাস কর।আমি গেলাম।
ব্যাগ গুছিয়ে ক্লাসরুম থেকে বেরিয়ে আসলাম।মেজাজের ফালুদা বানায়ে দিছে আজকে।ইশ পায়ে খুব ব্যথা করছে।অরণ্যর উচিত আমাকে বাসায় পৌছে দেওয়া কিন্তু দেখো হাদারাম ক্লাসের বাইরেই বেরুলো না।জাস্ট গো টু হেল।
একটা অটো ডেকে উঠে পড়লাম।বাসার সামনে নেমে ভাড়া মিটিয়ে গেটে ঢুকতে গিয়ে মাথায় লাগলো বারি।কিসে লাগলো দেখতে গিয়ে আমি পুরোই হা হয়ে গেলাম।পুরো আকাশটাই নীললললললল।সাথে সাদা সাদা তুলোর মত মেঘ।এমন একটা আকাশ দেখার ইচ্ছে ছিল অনেকদিনের।আজকে এভাবে দেখতে পাব ভাবি নি।গেট টাকে জড়িয়ে ধরে একটা চুমো খেতে ইচ্ছে হচ্ছে।মাথায় না লাগলে তো আকাশটাকে দেখতেই পেতাম না।ওহ অরণ্যকেও একটা চুমু দেওয়া উচিত। হিহি।
দৌড়ে রুমে গেলাম।ব্যাগ রেখে তড়িঘড়ি করে ফ্রেশ হলাম ছাদে উঠে আকাশের সাথে সেলফি তুলবো বলে।
ছাদে উঠতে গিয়ে টের পেলাম পায়ে কতটা ব্যথা লেগেছে।পিছন থেকে আম্মা বলছে
--ওই ঐশী অবেলায় ছাদে দৌড়াচ্ছিস কি জন্য? আজকে ক্লাস করিস নি?
--এসে বলছি আম্মা।
ছাদে উঠে আকাশের সাথে সেলফি তুললাম।অরণ্যর কথা বারবার মনে পড়ছে। এদিকে দুর্ভাগ্যবশত কপালের আবটাও উঠেছে সেলফি গুলোতে।এরপর আর কি। আকাশের দিকে তাকাচ্ছি আর মুচকি মুচকি হাসছি।আকাশকে পুরোই রাজপুত্রের মত লাগছে।পিছনে কখন আম্মা এসে দাড়িয়েছে খেয়াল করি নি।
--তোর মত পাগলী আমি কোথাও দেখিনি।একা একা হাসছিস কেন?
--ওটা তুমি বুঝবে না। চলো খেতে দাও।
--কপালে কে মেরেছে?এতখানি ফুলেছে কেন?
--শুধু কপাল না পায়েও লেগেছে।মুভ লাগালেই ঠিক হয়ে যাবে। এখন চলো তো।
.
রাত ৮টা
অরণ্য আজকে কল করে নি।ব্যাপার কি মারা-টারা গেলো নাকি!টানা পাঁচবার কল করার পর লাটসাহেব কল রিসিভ করলেন
--ওই হালা কল রিসিভ করতে এত লেইট হয় কেনো?
--বলো। কেমন আছো?
--পায়ে ব্যথা কপালে ব্যথা নিয়ে আমি খুব ভালো আছি।
--কপালে ব্যথা কি জন্য?
--মনে নেই। আচ্ছা রাখছি।
মাঝে মাঝে মন খারাপের রোগ আছে আমার।এখন যেমন হঠাৎ মন খারাপ হয়ে গেলো। যাইহোক ফোন রেখে টিভি দেখতে লাগলাম।
পরদিন ক্লাসে গেলাম না।শরীরটা ম্যাজম্যাজ করছে।সকালে আমার বান্ধবী লাবণী ফোন দিয়েছিলো।যেই বলেছি আমার শরীর ভালো লাগছে না অমনি আমাকে দেখতে আসার জন্য মরে যেতে লাগলো।আসলে ও তো আমায় দেখতে আসবে না আসবে ওর জানুর সাথে প্রেম করতে।উফ ওদের লুতুপুতু দেখলে শরীর আরো খারাপ করবে। আবার মানাও করতে পারবো না।
.
বিকেলের দিকে হাতে কয়েকটা কমলালেবু সমেত লাবণী আর ওর বয়ফ্রেন্ড লিখনের আগমন।
--লাবণী তুই দিনদিন এত পাল্টে যাচ্ছিস কিভাবে বলতো?
--সুন্দর হচ্ছি তাইনা।
--কচু।দিনদিন পেঁচীর মত হচ্ছিস।হিহিহিহি
--উফ ঐশী তুই না খুব খারাপ।তোর সাথে কথা নাই।
এটা বলেই মহারাণী বাইরে চলে গেলেন।পিছনে পিছনে লিখনও চলে গেল।এরা কি এবার চলে যাবে নাকি?যাক গে আমার জ্বালায় আমি মরে গেলাম।
.
পরদিন ক্লাসে গিয়ে দেখলাম এক আজব কাহিনি।অরণ্যর পায়ে কিছু একটাতে লেগে মারাত্মক ফুলে গেছে।আমারটার চাইতেও বেশি।
--কিরে এটা হলো কিভাবে?
--জানি না।ঘুম থেকে উঠে দেখি পায়ের এই অবস্থা।
আমার মন বলছে অরণ্য মিথ্যা বলছে।কেউ ইচ্ছে করে ডানহাত দিয়ে বামপায়ে আঘাত করেছে মনে হচ্ছে।অরণ্য এমন করলো কেনো?কারণটা কি আমি?আমি ব্যথা পেয়েছি বলে অরণ্যও নিজেকে ব্যথা দিয়েছে?নাকি ব্যাপারটা কাকতালীয়?রহস্যের গন্ধ পাচ্ছি। পরীক্ষা করে দেখতে হবে.....উহহ দারুন এক্সাইটেড লাগছে।কাল থেকে শুরু হবে পরীক্ষা....
.
পরদিন বিকেলে
--অরণ্য আজ একটু ক্যাম্পাসে আসতে পারবি?
--হ্যা।কি দরকার?
--আসলেই বুঝতে পারবি।সারপ্রাইজ।
কল কেটে দিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম।যাক এবার একটা ভালবাসার মানুষ পাওয়া গেলো তাহলে।
বিকেলে আমার বেস্টফ্রেন্ড মিতুলকে সাথে নিয়ে অরণ্যর সাথে দেখা করতে আসলাম।অরণ্যকে দেখে বোঝা যাচ্ছে না ও দুঃখ পেয়েছে কিনা!বেশ ঘটা করেই বললাম এটা আমার বয়ফ্রেন্ড।অরণ্য বেশ হাসিহাসি মুখ নিয়ে বললো কংগ্রাচুলেশনস। আমারই মনটা খারাপ হয়ে গেল।অরণ্যর একটু হলেও তো মন খারাপ করার দরকার ছিলো কিন্তু না ও একদম স্বাভাবিক।ধুর বোঝা যাচ্ছে অরণ্য আমাকে ভালবাসে না।
.
রাতে অরণ্য ফোন দিয়ে বললো
--তোমাদের প্রেম কেমন চলছে ঐশী?
আমি তো জাস্ট অবাক।কোথায় অরণ্যর এখন দেবদাসের মত অবস্থা হবে তা না দিব্যি নরমাল বিহেভ করছে।আমার খুব রাগ হচ্ছে।
--ভালো চলছে।তুই এখন ফোন রাখ।
--ওকে রেখে দিচ্ছি।
.
পরদিন ক্যাম্পাসে গিয়ে অরণ্যর সাথে বসলাম।স্বাভাবিক ভাবেই কথাবার্তা হচ্ছে।আমি ওর খাতা দেখে নোট করছি।হঠাৎ খেয়াল করলাম অরণ্য আমার দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
--কিরে এভাবে তাকিয়ে আছিস কেনো?কাচা খেয়ে ফেলবি নাকি?
--তুমি আজ এত রেগে আছো কেনো ঐশী? তোমাকে বেশ সুন্দর দেখাচ্ছে।
অরণ্যর মুখে প্রশংসা শুনে বেশ ভালো লাগছে।আরএকটু রাগি লুক আনার চেষ্টা করলাম।
--উহু তোমাকে আর ভালো দেখাচ্ছে না।তুমি ইচ্ছে করে রাগি লুক আনার চেষ্টা করছো।
এই সেরেছে রে।ধরে ফেললো কিভাবে!যাইহোক ও এখনো আমাকে প্রপোজ করছে না কেনো?ভালবাসে না নাকি আমাকে?আমি এই দুদিনে ওকে এত ভালবেসে ফেললাম কিভাবে।কতটা মিস করেছি ওকে।গরুটা প্রপোজ করবে কখন!!!
.
দেখতে দেখতে পাঁচদিন অতিবাহিত হয়ে গেল।গরুটা আমায় প্রপোজ করে নি।একেবারে নরমাল বিহেভ করছে আমার সাথে।আমার খুব কষ্ট লেগেছে এ কদিনে।কোথা থেকে এসে মহারাজ বসলো আমার পাশে।
--কিরে মন খারাপ কেনো?
ওর মুখে তুই ডাক শুনে মনটা আরো খারাপ হয়ে গেলো।
--এমনি।
--মন খারাপ করতে হবে না।এই নে গোলাপ...I love u!এটাই তো শুনতে চেয়েছিলি তাইনা। I love u I love u I love u...আমি জানি তুইও আমাকে ভালোবাসিস।তুই করে বলছি বলে রাগ করিস না।আমার জানুকে তুই করেই বলার শখ আমার। আর তুই আমাকে তুমি করে বলবি।
আমি শুধু অবাক হয়ে অরণ্যর কথা শুনছি।কিছুটা মোহের ভিতর চলে গেছি আমি।অনেক কান্না পাচ্ছে আমার।
--কাঁদছিস কেনো?I love u too বলবি না?
--তুমি জানতা মিতুলের সাথে আমি অভিনয় করেছিলাম?
--আমি তোকে সেই ৪বছর থেকে চিনি।তুই কখন কি করতে পারিস সব আমার জানা!
--ও....
আবার মন খারাপ হয়ে গেলো।বারবার চেষ্টা করছি মন ভালো করার বাট হচ্ছে না।হঠাৎ অরণ্য আমার ডানহাতটা নিয়ে কনিষ্ঠ আঙুলে ছোট্ট একটা কামড় দিলো।আমি জাস্ট অবাক এটাও মনে আছে ওর যে মন খারাপের সময় কেউ ডানহাতের কনিষ্ঠ আঙুলে কামড় দিলে মন ভালো হয়ে যায়।আমি অরণ্যর দিকে তাকিয়ে আস্তে করে বললাম
--I love u too অরণ্য.....
অরণ্য কিছু বললো না।আমার দিকে তাকিয়েই মুচকি একটা হাসি দিল।
.
লেখা:-যারিন রাইসা(অস্পর্শী অপরাজিতা)
সাচ ট্যাগঃ
ভালবাসার গল্প,ভালবাসার কবিতা,ভালবাসার কষ্টের গল্প,ভালবাসার গান,ভালবাসার এসএমএস,ভালবাসার ছবি,ভালবাসার কষ্টের চিঠি,ভালবাসার কষ্টের এস এম এস,ভালবাসার চিঠি,ভালবাসার ছন্দ,ভালবাসার,ভালবাসার গল্প apk,ভালবাসার গল্প app,ভালবাসার bangla sms,ভালবাসি by topu,bangla ভালবাসার কবিতা,ভালবাসার গল্প blog,ভালবাসার choda,ভালবাসার chiti,ভালবাসার sms.com,ভালবাসার গল্প.com,ভালবাসার গলপ.com,ভালবাসার চিঠি.com,ভালবাসার কবিতা.com,ভালবাসার ডাকপিয়ন (the cafe of love),ভালবাসার dialogue,ভালবাসা day,ভালবাসার কবিতা download,ভালবাসার গল্প pdf download,ভালবাসার facebook,ভালবাসা facebook,ভালবাসা fb,facebook ভালবাসার গল্প,ভালবাসার কবিতা facebook,ভালবাসার কথা facebook,ভালবাসার ডাকপিয়ন facebook,ভালবাসার গল্প fb,ভালবাসার রং facebook,ভালবাসার golpo,ভালবাসার gan,ভালবাসা golpo,ভালবাসার jokes,ভালবাসার kobita,ভালবাসার kotha,ভালবাসার kosto,ভালবাসা kobita,ভালবাসা ki,ভালবাসার love sms,ভালবাসার letter,ভালবাসি lyrics,ভালবাসার উক্তি(love quotes),ভালবাসার গল্প love story,ভালবাসার মেঘ lyrics,ভালবাসার message,ভালবাসার massage,ভালবাসা message,ভালবাসা meaning,ভালবাসার কবিতা mp3,ভালবাসার s m s,ভালবাসার গান mp3,ভালবাসার photo,ভালবাসার picture,ভালবাসার page,ভালবাসা.pdf,ভালবাসার গল্প pdf,ভালবাসার উপন্যাস pdf,ভালবাসার কবিতা pdf,ভালবাসার quotes,ভালবাসা quotes,ভালবাসার romantic গল্প,real ভালবাসার গল্প,ভালবাসার sms,ভালবাসার status,ভালবাসার story,ভালবাসার sma,ভালবাসার sms bangla,ভালবাসার smd,ভালবাসা sms,ভালবাসি sms,ভালবাসা story,ভালবাসা sad sms,ভালবাসার tips,ভালবাসার tipes,ভালবাসার trips,www.ভালবাসার গল্প.com,www.ভালবাসার sms.com,www.ভালবাসার কথা.com,www.ভালবাসার কবিতা.com,www.ভালবাসার গলপ.com,ভালবাসা wikipedia,ভালবাসার 101,ভালবাসা 101,ভালবাসা 101 নাটক,ভালবাসার গল্প 18+
0 comments:
Post a Comment