Free Tips and Trick

November 30, 2016

অবাক করা সব নদীর কাহিনী।

পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, সুরমার মতো কতো মিষ্টি মিষ্টি নদী আমাদের এই বাংলাদেশে জালের মতো ছড়িয়ে আছে। আর তাই তো আমাদের দেশ এত্তো সুন্দর! কিন্তু এসব নদী ছাড়াও যে পৃথিবীতে আরো অনেক বিশাল বিশাল আর ভীষণ সুন্দর সুন্দর সব নদী আছে, তা কি আপনারা জানেন? এসব নদী সম্পর্কে কিন্তু আমরা অনেক কিছুই জানি না। অনেক গুলোর নামও এমন, মনেই হয় না এগুলো নদীর নাম হতে পারে। কি? খুব কৌতূহল হচ্ছে? তাহলে চলেন, পরিচিত হয়ে আসি পৃথিবীর কয়েকটি বিস্ময়কর সুন্দর নদীর সঙ্গে।


আমাজনঃ
পৃথিবীর সবচেয়ে বিস্ময়কর নদী কোনটিকে বলা হয় জানেন? তার নাম আমাজন। দক্ষিণ আমেরিকায় অবস্থিত আমাজন পৃথিবীর দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী। আর চওড়ার দিক দিয়ে কিন্তু এটিই প্রথম। আন্দিজ পর্বতমালার যে অংশ ব্রাজিলে অবস্থিত, সেখান থেকেই এই নদীর উৎপত্তি। এরপর পেরু, ইকুয়েডর, বলিভিয়া, ভেনেজুয়েলার ভেতর দিয়ে এক লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে আমাজন শেষমেষ গিয়ে মিশেছে আটলান্টিক মহাসাগরে। আটলান্টিক মহাসাগরটিকে চিনেছেন তো? যে মহাসাগরে রহস্যময়ভাবে ডুবে গিয়েছিলো টাইটানিক।

নিশ্চয়ই আপনাদের আরো জানতে ইচ্ছে করছে নদীটি সম্পর্কে! তাহলে শোনেন, আমাজনের দৈর্ঘ্য প্রায় ৪০০০ মাইল। আর গড়ে প্রায় সাড়ে সাত মাইল প্রশস্ত। আমাজন যেখানে সাগরের সাথে মিলিত হয়েছে সেখানে তো এর প্রশস্ততা প্রায় ২০২ মাইল। শুনে অবাক হতে হয় বৈকি! আরো অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে, প্রতি সেকেন্ডে আমাজন থেকে প্রায় ৫৫ মিলিয়ন গ্যালন পানি সমুদ্রে গিয়ে পড়ছে, যার তোড়ে মোহনা থেকে প্রায় ১০০ মাইল পর্যন্ত সমুদ্রের পানিতে কোনো লবণাক্ততাই থাকে না। পৃথিবীর সব নদীগুলো একত্রে যে পরিমাণ পানি সমুদ্রে ফেলছে আমাজন একাই তার ২০ শতাংশ পানি বয়ে নিয়ে যাচ্ছে সমুদ্রে। আর এ কারণেই আমাজনকে অনেক সময় ডাকা হয় ‘সাগরনদী’ নামে। স্থানবিশেষে আমাজনের গভীরতা প্রায় ৩০০ ফুট। বর্ষাকালে প্রশস্ততা আরও বেড়ে যায়। নদীর দুই পাড় আর মাঝখানের দ্বীপগুলোও ডুবে যায় পানির নীচে।

এবার শোনেন কীভাবে নামকরণ করা হলো এ বিস্ময়কর নদীর। ‘আমাজন’ নদীটির নামকরণ করেছে স্প্যানিশরা। গ্রীক পুরাণে বর্ণিত সর্বকালের সবচেয়ে শক্তিশালী নারীরা হলেন ‘আমাজন’। আর তাদের নামেই নামকরণ করা হয়েছে প্রমত্তা এই নদীটির।


কঙ্গোঃ
এবারে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি আরেকটি অদ্ভুত নদীর সাথে। এর নাম ‘কঙ্গো’। মধ্য-পশ্চিম আফ্রিকায় অবস্থিত নদীটিকে আগে ডাকা হতো ‘জায়ারে’ নামে। পরে ‘জায়ারে’ দেশের নাম যেমন ‘কঙ্গো’ হয়ে গেল, তেমনি ‘জায়ারে’ নদীর নামও হয়ে গেলো ‘কঙ্গো’। এই নদীটিই কিন্তু পৃথিবীর সবচেয়ে গভীর নদী। এর সর্বোচ্চ গভীরতা প্রায় সাড়ে সাতশ ফুট। লম্বায়ও এটি নেহাত কম নয়। প্রায় ২৯২০ মাইল দীর্ঘ যা পৃথিবীর নবম দীর্ঘতম। আর পানি পরিবহনের দিক থেকে আমাজানের পরেই কঙ্গোর স্থান। অবশ্য কঙ্গোর পানি পরিবহনের ক্ষমতা আমাজানের এক পঞ্চমাংশ।


নীলনদঃ
নীলনদের নাম তো আপনারা নিশ্চয়ই শুনেছেন। হ্যাঁ, সেই বিখ্যাত নীলনদ, যার তীরে গড়ে উঠেছিল সুপ্রাচীন মিশরীয় সভ্যতা। নীলনদ যে শুধুমাত্র ওই প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার জন্যই বিখ্যাত, তা নয়। এটি পৃথিবীর দীর্ঘতম নদীও বটে। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৪১৩২ মাইল। তাঞ্জানিয়ার ভিক্টোরিয়া হ্রদে নীলনদের জন্ম। এরপর আফ্রিকার প্রায় ১০টি দেশ ঘুরে শেষমেশ গিয়ে পড়েছে ভূমধ্যসাগরে। প্রাচীনকাল থেকেই নীলনদ আফ্রিকার মানুষের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নদী। আফ্রিকার বেশিরভাগ বসতিই গড়ে উঠেছে নীলনদের তীরেই। নীলনদের পানি দিয়েই তারা জমিতে ফসল ফলায়। শুধু তাই নয়, নৌ চলাচলের জন্যও নীলনদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পথ। শুনলে অবাক হবেন, শীতকালেও এখানে এতো জোরে বাতাস বয় যে, শুধুমাত্র পাল তুলেই যেকোনো নৌকা স্রোতের বিপরীতে চলতে পারে! তবেই বোঝেন, কী জোর সেই বাতাসের!


জাম্বেসিঃ
‘জাম্বেসি’ নামের কোনও নদীর কথা কি আপনারা কখনো শুনেছন? মোটামুটি অপরিচিত হলেও জাম্বেসি আফ্রিকার চতুর্থ বৃহত্তম এবং খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি নদী। আফ্রিকার দেশ জাম্বিয়া থেকে এর উৎপত্তি হয়েছে বলেই এর নাম দেয়া হয়েছে ‘জাম্বেসি’। ২২০০ মাইল লম্বা এ নদীটি এঙ্গোলা, বতসোয়ানা, জিম্বাবুয়ে, মোজাম্বিকসহ আফ্রিকার ৬টি দেশ ভ্রমণ করেছে। এরপর গিয়ে পড়েছে ভারত মহাসাগরে। বিশাল জাম্বেসি নদী কিন্তু বিখ্যাত অন্য কারণে। এই নদীটা যে কী সুন্দর! সে আর কী বলবো। ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাতের নাম শুনেছেন না? সেই যে, বিশ্বের সবচেয়ে প্রশস্ত জলপ্রপাত। সেটাও কিন্তু এই নদীতেই। এই জলপ্রপাতটির উচ্চতা প্রায় ৩৫০ ফুট আর চওড়ায় প্রায় ৫৭০০ ফুট। অনেক বিশাল, তাই না? আর মজার ব্যাপার কি জানেন? জলপ্রপাতের নিচে পানি এত্তো জোরে আছড়ে পড়ে, মনে হয় উপর থেকে পানি পড়ছে না, পড়ছে বজ্রপাত! আর তাই এর নামও দেয়া হয়েছে ‘বজ্রপাত সৃষ্টিকারী ধোঁয়া’। কী আজব ব্যাপার, তাই না? আর এটা তো জানেন যে, আফ্রিকাকে বলা হয় একটি ‘বৃহৎ চিড়িয়াখানা’। জাম্বেসি নদীর তীরবর্তী প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর বন্যপ্রাণীর সমাহার এতই সুন্দর, যে দেখলে মুগ্ধ না হয়ে পারা যায় না।


গঙ্গাঃ
আপনাদের একটা প্রশ্ন করি। বলেন তো, পদ্মা নদীর আরেকটা নাম কি? হ্যাঁ, ঠিক বলেছেন, পদ্মা নদীর আরেক নাম হলো গঙ্গা। হিমালয়ের দক্ষিণ দিক থেকে গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে উৎপন্ন হয়ে গঙ্গা নদী বয়ে গেছে চীন, ভারত আর নেপালের উপর দিয়ে। তারপর পদ্মা নাম নিয়ে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশে। প্রায় ১৫৬০ মাইল পাড়ি দিয়ে অবশেষে গিয়ে মিশেছে বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে।

হিন্দুদের কাছে এই গঙ্গা নদী কিন্তু খুবই পবিত্র। জানেন তো, হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা অনেক দেব দেবীর পূজা করে। গঙ্গা নদীও তাদের কাছে দেবীর মতই। এ নদীর নামই যে দেবী গঙ্গার নামে। আর তারা বিশ্বাস করে, এই দেবীর বুকে গোসল করলে তাদের সব পাপ ধুয়ে-মুছে যাবে। তাই তারা বহুদূর থেকে আসে এই নদীতে গোসল করে তাদের সব পাপ ধুয়ে ফেলতে। মারা গেলে মুসলিম কিংবা খ্রীস্টান ধর্মাবলম্বীরা যেরকম মৃতদের কবর দেয়, হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা মৃতদের পুড়িয়ে ফেলে। আর সেই ছাই অনেকেই আবার ভাসিয়ে দেয় গঙ্গার বুকে। ওদের ধারণা, এতে মৃত ব্যক্তির আত্মা সোজা স্বর্গে চলে যায়।

গঙ্গা নদীই কিন্তু বাংলাদেশে ঢুকে নাম নিয়েছে পদ্মা। আর এই পদ্মা নদী কি জন্য বিখ্যাত বলেন তো? হ্যাঁ, ইলিশ মাছের জন্য। পদ্মা নদীর ইলিশ মাছের যে স্বাদ, তা আর কোনো জায়গার ইলিশ মাছেই পাবেন না। শুধু তাই নয়, এই ইলিশ কিন্তু আবার গঙ্গা নদীতেও পাওয়া যায় না। ইলিশরাও কিভাবে যেন বুঝে গেছে, এটা পদ্মা, আর ওটা গঙ্গা!

কেমন লাগলো এতক্ষণ ধরে এতোসব ভীষণ সুন্দর সব নদ-নদীর গল্প শুনতে? ভালো লেগেছে নিশ্চয়ই। কিন্তু শুধু কি গল্প শুনলেই হবে? নদীগুলোতে ঘুরতেও তো যাওয়া চাই। কিন্তু তাই কি আর যাওয়া সম্ভব? এতোগুলো নদী ঘুরতে হলে কতোগুলো দেশে যেতে হবে একবার ভাবেন তো দেখি! তাই বলে মন খারাপ করে বসে থাকারও কোন দরকার নেই। আরে, আমাদের দেশে কি নদীর কোনো অভাব আছে! এতো ছোট্ট একটা দেশে এত্তোগুলো নদী পৃথিবীর আর কোন দেশে আছে শুনি? আমরা তো আমাদের দেশের নদীগুলোতেই ঘুরতে যেতে পারি, কি বলেন? কত্তো সুন্দর সুন্দর সব নদী রয়েছে আমাদের দেশে। সেসব নদী যেমনি সুন্দর, তেমনি ভয়ঙ্করও বটে। তাহলে আপনারা ঠিকঠাক করতে থাকেন, কবে কে কোন নদীতে ঘুরতে যাবেন।

লেখকঃ বাবু।
Share:

গঙ্গা নদীর উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ

গঙ্গা নদী (Ganges River)  ভারত ও বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ  নদী। এটি পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা বৃহৎ নদীপ্রণালী সমূহের মধ্যে অন্যতম। এর ইংরেজি উচ্চারণ ‘গ্যানজেস’ সংস্কৃত নাম ‘গঙ্গা’-এর অপভ্রংশ, যা একজন গ্রিক ইতিহাসবেত্তা কর্তৃক প্রথম ব্যবহূত হয়েছিল। সমগ্র ভারতবর্ষ এবং যে সকল স্থানে ভারতীয় সভ্যতার বিস্তৃতি ঘটেছিল সে সব অঞ্চলে গঙ্গা নামটি সুপরিচিত। এর নিষ্কাশন অববাহিকা পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলের একটি এবং এ অঞ্চলেই ইন্দো-আর্য সভ্যতা বহু শতাব্দী ধরে বিকশিত হয়েছে। গঙ্গা ছাড়াও এ নদীপ্রণালী অনেক গুরুত্বপূর্ণ শাখা নদীসমূহকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে যমুনা, কালী, কার্ণালি, রামগঙ্গা, গন্ডক এবং কোশি। এসবের সবকটিই  হিমালয় পর্বতমালা থেকে উৎসারিত এবং প্রধানত গলিত বরফ থেকে এদের সৃষ্টি। মূলত গঙ্গা দুটি উপনদী থেকে সৃষ্ট- ভাগীরথী এবং অলকানন্দা।

তিববত-ভারতের সীমান্তের সন্নিকটে গঙ্গা নদীর উৎপত্তি। প্রচলিতভাবে ভাগীরথীকে মূল গঙ্গা হিসেবে মেনে নেওয়া হয় যদিও অলকানন্দা তুলনামূলকভাবে বৃহত্তর নদী। গঙ্গার মূল উৎস হিমালয় পর্বতমালার প্রায় ৩,৯০০ মিটার উচ্চে অবস্থিত গঙ্গোত্রী হিমবাহ। গঙ্গোত্রী তীর্থস্থানটি গোমুখ থেকে কয়েক কিলোমিটার ভাটিতে। ভাগীরথী নদী গঙ্গার পশ্চিমদিকের উপনদী জাহ্নবীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে মূল হিমালয় থেকে সামান্য উত্তরে এবং এ স্থানটি গঙ্গোত্রী মন্দির থেকে প্রায় ১১ কিমি নিচে। নদীর সম্মিলিত ধারাটি এর পরে হিমালয় অঞ্চল ভেদ করে একটি বিশাল গিরিসঙ্কটের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এ গিরিসঙ্কটে নদীর তলদেশ উভয় পার্শ্বের পর্বতচূড়া থেকে প্রায় ৩,৯৬০ মিটার নিচে।
নদীটি দক্ষিণ-পূর্বাভিমুখে ভারতভূমিকে অতিক্রম কওে প্রবাহিত বাংলাদেশের পশ্চিম সীমান্তে  নবাবগঞ্জ জেলার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ভূখন্ডে প্রবেশ করেছে। দেশের অভ্যন্তরেও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে এটি গোয়ালন্দঘাটের কাছে যমুনার সঙ্গে মিলিত হয়ে আরও ভাটিতে চাঁদপুরের কাছে মেঘনার সঙ্গে মিলিত হয়েছে। যমুনার সঙ্গে সঙ্গমস্থল থেকে মেঘনা সঙ্গম পর্যন্ত নদীটির নাম  পদ্মা। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গঙ্গা নদীর সমগ্র প্রবাহপথই ‘পদ্মা’ নামে বহুল পরিচিত, যদিও তা সঠিক নয়। যমুনা সঙ্গম পর্যন্ত গঙ্গার সর্বমোট দৈর্ঘ্য ২,৬০০ কিমি এবং এর নিষ্কাশন অঞ্চলের আয়তন ১০,৮৭,৪০০ বর্গ কিমি যার মাত্র ৪৬,৩০০ বর্গ কিমি এলাকা বাংলাদেশ ভূখন্ডের অন্তর্ভুক্ত। বাংলাদেশে এর উপনদী কেবল একটি  মহানন্দা, যেখানে শাখানদী রয়েছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক যেমন: ইছামতি, নবগঙ্গা, ভৈরব, কুমার, গড়াই-মধুমতি এবং আড়িয়াল খাঁ।

গঙ্গা একটি গুরুত্বপূর্ণ জলশক্তি প্রণালী যা পৃথিবীর বৃহত্তম বদ্বীপগুলির একটিকে গঠন করেছে। এ বদ্বীপভূমির আওতাভুক্ত হয়েছে বাংলাদেশের অধিকাংশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি বৃহত্তর অংশ। গাঙ্গেয় বদ্বীপভূমির উন্নয়নের দীর্ঘ ইতিহাসে দেখা যায়, নদীটি পূর্বের প্রবাহপথ থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে সরে এসে বঙ্গের নিম্নভূমির বর্তমান অবস্থানে পৌঁছেছে। গঙ্গা এবং তার উপনদী এবং শাখানদী এ বদ্বীপভূমির উন্নয়নে সুদীর্ঘ সময় জুড়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। গঙ্গা-যমুনা-মেঘনা প্রণালীর বদ্বীপ মোহনার নদীগুলির সম্মিলিত নিষ্কাশিত পানি অপসারণের পরিমাণ গড়ে ৩৫,০০০ কিউসেক। গঙ্গার বর্ষা মৌসুমে পানি অপসারণের পরিমাণ ৭৬,০০০ কিউসেক পর্যন্ত হয়ে থাকে এবং সে সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে  পলিবাহিত হয়ে থাকে। শুষ্ক মৌসুমে নদীর প্রবাহ প্রায় ১৫,০০০ কিউসেক এবং স্বাভাবিকভাবেই এ সময়ে পলি বহনের পরিমাণ খুবই সামান্য হয়ে থাকে।  বদ্বীপ অংশে নদীর প্রশস্ততার পরিসীমা ১.৬ থেকে ৮ কিমি এবং কখনো কখনো এখানে কিছুটা বিনুনী প্রবাহের বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয় যদিও এটি একটি সর্পিল প্রকৃতির নদী। গঙ্গার বদ্বীপভূমির শুরু হয়েছে ঐতিহাসিক শহর গৌড় এর নিকট থেকে। নদীর বর্তমান প্রধান শাখাটি দক্ষিণ-পূর্বাভিমুখে প্রবাহিত ও বাংলাদেশ ভূখন্ডে এ প্রবাহ পদ্মা নামে বহুল পরিচিত। কয়েক শতাব্দী পূর্বে বঙ্গ সমভূমিতে গঙ্গার প্রধান নদীখাত ছিল হুগলি। ভাগীরথী, জালাঙ্গী এবং মাথাভাঙ্গা শাখা নদীসমূহের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে এদের নদীয়া নদী বলা হতো। উল্লেখ্য যে, গঙ্গা নদীতে ভারতের নির্মিত ফারাক্কা বাঁধ বাংলাদেশের পরিবেশের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে চলেছে।  [কাজী মতিন উদ্দিন আহমেদ]
Share:

কিভাবে পেয়জা একাউন্ট খুলবেন ও ভেরিফাই করবেন দেখে নিন।

অনলাইনে টাকা ইঙ্কামের জন্য অনেকেই  পিজা একাউন্ট খুলেছেন। আসলে সে একাউন্টে টাকা পাওয়া যায় কি না। জানেন না। কিন্তু ঠিকি দোষ দেন ইঙ্কাম  সাইটের, কিন্তু আপনার একাউন্ট কতটুকো সঠিক? সেই টার উপর ভিত্তি করেই টাকা পাবেন। অনেকেই টাকা ইঙ্কামের  বিজ্ঞাপন দেখেই খুলে ফেললে পিজা একাউন্ট। জানার দরকার নাই একাউন্ট হয়েছে কি না। আর যারা রেফারেল ইঙ্কামের জন্য পিজা একাউন্ট খুলতে বলেন। সর্ম্পূন নিয়ম বলেন না কেন ? আপনার লভোণীয় বিজ্ঞাপন দেখে, না জেনেই আপনার রেফারেল  একাউন্ট খুলে বসে। (ট্রাফিকমুসুনের কাজের সময়) সেই টাকা তুলতে পারবে কি ? না কি আপনি টাকা তুলে দিবেন ?
প্রায়া ৮০% একাউন্ট ভেরিফাই হয় না। আর ভেরিফাই না হলে টাকা পাওয়ার কনো সম্ভাবনাই নেই। আর সেই একাউন্ট দিয়ে যদি একটি সাইটে কাজ করেন। আর টাকা পাওয়ার সময় যদি, বলে আপনার পিজা একাউন্ট সঠিক নয়। তাহলে আপনার কাজের দাম কি দারাল? ০ টাকাও তুলতে পারবেন না। শুধু আপছস ছাড়া কিছুই করতে পারবেন না।
আজ আমি কিছুটা ধারনা দেব কি ভাবে একটি সর্ম্পূন পিজা একাউন্ট খুলবেন । ও সে টা ভেরিফাই করবেন। 
পিজা একাউন্টা খুলতে এইখানে ক্লিক করুন।
তার পড় এই পার্সনাল সিলেক্ট করুন।
তার পর এই লেখা পাবেন Create your Payza Personal account . নিচের স্কিনর্সট দেখে কাজ করুন।
মনে রাখবেন, এই খানে কোন  রকম ভুল নাম দিলে একাউন্ট ভেরিফাই করতে পারবেন না। অর্থাৎ আপনার পাসফুট অথবা ভোটার আইডি কাডের আসল ইনর্ফমেসন গুলা দিবেন। আর পাসওর্য়াড ছোট হাতের বড় হাতের অংক। এই ভাবে না দিলে হবে না। kkkkkNNNNNNN45. এর চে যত কঠিন পাসওর্য়াডই দেন হবে। কিন্তু এর চে সহজ হবে না ।
সব ঠিক ঠাক পুরুন করে, Get Started এ ক্লিক করুন।
তার পর মেইল চেক করে conframmation sms Success করুন।
পেইজা একাউন্ট খুলা শেষ।
এই বার এলো ভেরিফাই করার পালা।
ভেরিফাই করার আগে, information 0% আছে, এই টা আপনার সঠিক information গুলা  দিয়ে দিবেন । তার পর 100% হয়ে যাবে।
তার পর বাম দিকে একটু নিচেই আপনি দেখতে পাবেন।  Verify your accoun এই লাখায় ক্লিক করুন।
তার পর Document Validation এই লেখা টা দেখতে পাবেন।
এর মধ্যে আমি ১ National ID Card সিলেক্ট করেছি।(যেটা দিয়ে নাম ও জন্মদিন ঠিক ঠাক করেই দিয়েছিলেন, সেই আইডি দিয়েই, ভেরিফাই করতে হবে)  এই জন্য আরেক টা ঘর এসেছে।
২  এ আপনার আইডি কর্ডের fast part টা দিবন
৩ এই খানে আইডি কার্ডের second part টা দিবেন
৪ এ আপনার সদ্যতলা ১ টা ছবি।
তার পর Next চেপে Submit কাজ শেষ, তখন লেখা দিবে, ব্যবসাহিক ৪/৫ দিনের মধ্যে সনাক্ত করে আপনার ইমেইলের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে । কাজ সেষ।
Share:

November 28, 2016

মোবাইল ফোন ও গেইমস এর প্রতি আসুক্তি বেড়েই চলেছে স্কুল-ছাত্র ছাত্রীদের


এই ছবিটি লক্ষ্য করুন। এটা কোন মাদকের বা এই জাতীয় কিছুর আসুক্তি নয় এটা হচ্ছে মোবাইল এর একটা গেইমের প্রতি আসুক্তি। এই গেইমটির নাম Clash of clans. বাংলাদেশের প্রায় ৪০% ছাত্র-ছাত্রী এভাবেই গেইম খেলে তাদের মুল্যবান সময় নষ্ট করছে। শুধু বাসায় নয় এর দলগত খেলা চলে স্কুল কলেজের আঙিনায়।




কেউ হয়তো ক্লাস বাদ দিয়েও এভাবে বসে পড়ে খেলার জন্য। কিন্তু শত বাধাও তাদের থামাতে পারে। এই অবস্তা চলতে থাকলে দেশের ছাত্রসমাজ ধংস হয়ে যাবে।

অভিভাবকরাও ঠিক মত জানে না তাদের ছেলে মেয়েরা ক্লাসে কি করে। শুধু ছেলেদের ছবি দেয়া হয়েছে বলে ভাববেন না যে শুধু ছেলেরা আসক্ত। মেয়েরাও আছে।

আর শুধু গেইমস নয় ফেসবুক, টুইটার সহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যামের প্রতিও তাদের আসুক্তি কম নয়।

এভাবে চলতে থাকলে ডিজিটাল বাংলাদেশ এর সপ্ন আর দেখার প্রয়োজন নাই। ডিজিটাল বাংলাদেশের ফল এইরকমি হবে। তাই এগুলো প্রতি সরকার, শিক্ষক ও অভিভাবক দের নজর দেয়া দরকার। 

রিপোর্ট ঃ এফ আই রাকিব
ছবি- ফেসবুক
Share:

মোবাইল দিয়ে এক ক্লিকে ফেসবুকের সব ফ্রেন্ডকে আনফ্রেন্ড করুন

আজ আমি দেখাব কিভাবে এক ক্লিকে
আনফ্রেন্ড করবেন আপনার সকল ফেসবুক
ফ্রেন্ড কে ? তাও আবার শুধু মাত্র
একটা নরমাল মোবাইলের এর মাধ্যমে।
চলুন এবার কাজের কথায় আসা যাক….!

এখন এই লিংকে গিয়ে ১টা বক্স পাবেন।বক্সে
টোকেন টি paste করুন।



বাকি কাজ টুকু পিক দেখে করুন।



এবার Re-scan করে দেখে নিন সব Remove
হয়েছে কি না।

যদি দেখেন কিছু ফ্রেন্ড Remove হয় নি।তাহলে
ঠিক আগের মতো Remove All ক্লিক করে
Remove করে দেন।
ধন্যবাদ সবাইকে, পোস্ট টি পড়ার
জন্য। ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট
করে, আপনার মূল্যবান মতামত টি
জানাবেন।


#কপিড
Share:

Xapk কি? কিভাবে xapk ফাইল ইন্সটল করতে হয় জেনে নিন।


আজকে একটু অফ টপিক নিয়ে আলোচনা করি! টপিকটি হলো বড় বড় সাইজের এইচ.ডি গেমগুলো কিভাবে পি.সি এবং কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলে ইনস্টল করবেন! চলুন শুরু করি?



এর জন্য প্রথমে আপনাকে গেমটির XAPK file download করতে হবে! ভাবছেন এই XAPK ফাইল আবার কি? XAPK file হচ্ছে APK+OBB data যুক্ত ফাইল। অর্থাৎ, এই ফাইলটি ডাউনলোড করলে আপনাকে আলাদা আলাদা ভাবে APK & OBB file ডাউনলোড করতে হবে না! 

ঐ গেমের .XAPK ফাইলটি ডাউনলোড সম্পূর্ণ হয়ে গেলে আপনাকে আরেকটি অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করতে হবে। অ্যাপটির নাম হচ্ছে XAPK INSTALLER.APK ডাউনলোড সম্পূর্ণ হওয়ার পর এই অ্যাপটি সাধারণ নিয়মে আপনার ফোনে ইনস্টল করে ওপেন করুন। 

তারপর গেম ফাইলটি সিলেক্ট করুন এবং ইনস্টল করে ফেলুন। অটোমেটিকলি ফাইল এক্সট্রাক্ট হয়ে ইনস্টল অপশনটি না আসা পর্যন্ত কয়েক সেকেন্ড অপেক্ষা করুন। ইনস্টল অপশনটি আসলে তা সিলেক্ট করুন। ব্যাস আপনার গেমটি ইনস্টল শেষ।

এই XAPK FILE DOWNLOAD করার জনপ্রিয় একটি LINK হচ্ছে: http://www.apkpure.com
এখানে আপনি আপনার যাবতীয় গেমস্ এবং এপস্ পেয়ে যাবেন একদম ফ্রি তে!!!
উপকৃত হলে লাইক করুন, শেয়ার করুন এবং আমাদের সাথেই থাকুন।
Share:

November 20, 2016

পিসি দিয়ে যেকোনো এন্ডয়েড মোবাইল রুট করুন।

অনেকে বলেছেন আপনারা অনেক চেষ্টা করেও আপনার ফোনটি রুট করতে পারেন নি। Framaroot, IRoot, Kingroot, Kingoroot ইত্যাদি ইত্যাদি app ব্যবহার করেও কাজ হয়নি। তাই আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম কিভাবে কম্পিউটার দিয়ে আপনার ফোনটি রুট করবেন। যারা জানেন খুব ভালো। আর যারা জানেন না তাদের জন্য এই পোস্ট। কথা না বাড়িয়ে চলুন কাজ শুরু করা যাক।
★★★যা যা লাগবে★★★
1- PC or Laptop (install any Windows)
2- Root software (Root Genius)
3- Installed USB driver
★★★কাজের ধাপ★★★
1- প্রথমে আপনার ফোনের USB Driver
ডাউনলোড করে কম্পিউটারে Install করুন।
2- এবার ফোনের Settings >Developers
Option >USB Debugging এ on করে দিন।
( নোটঃ – Developers Option Hide করা
থাকলে Settings> About Phone >Built Number এ
পাঁচ- আটবার টাচ করলেই পাবেন )
3- এবার Root Genius অ্যাপ্সটি
ডাউনলোড করে পিসিতে Install করুন।
4- তারপর পিসির সাথে আপনার
ডিভাইসটিকে USB Cable এর মাধ্যমে কানেক্ট করে Root Genius অ্যাপ্সটি চালু করুন।
5- পিসির সাথে আপনার ফোন
কানেক্ট হলে, Root Genius অ্যাপ্সটি
Automatically আপনার ডিভাইসকে Detect করে নিবে।
6- এবার Root Genius থেকে “Root It ” এ ক্লিক করুন।
তাহলে Rooting Process শুরু হবে
এবং কয়েক মিনিটের মধ্যে আপনার
ফোনটি Root হয়ে যাবে।
7- রুট হয়েছে কিনা দেখার জন্য,
Applications Menu তে গিয়ে দেখুন KingUser নামে কোন অ্যাপ আছে কিনা , থাকলে আপনার ফোন রুটেড।
★★এছাড়া Root Checker Application এর মাধ্যমেও দেখতে পারেন, রুট হয়েছে কিনা।
Old Version – Download 
উপরের Screenshot গুলো এই old version এর।
Latest Version – Download 
লেটেস্ট ভার্শন এর Screenshot গুলো নিচের মত হবে।

প্রথমে Old Version টা দিয়ে কাজ করবেন। এটা দিয়ে প্রায় maximum Phone Root হয়ে যাওয়ার কথা। যদি তাও কাজ না হয় তাহলে Latest Version দিয়ে কাজ করবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
Credit -TechTunes
Share:

রবি+জিপি ফ্রি ইন্টারনেট ডিসকানেকশন সমস্যার সমাধান।

অনেকেই রবি ও জিপিতে ফ্রি নেট ইউজ করতেছে।কিন্তু যে সমস্যার কারনে ফ্রি নেট চালিয়ে মজা পাওয়া যায় না তা হল ভিপিএন ডিসকানেশন সমস্যা।
অনেক ঘাটাঘাটি করে এই একটা সমাধান পেলাম।তাই শেয়ার করতেছি।
<-- adsense -->
প্রথমে নিচের লিংংক থেকে ভিপিএনটি ডাউনলোড করে নিন।

এরপর ইন্সটল করে ওপেন করুন। তাহলে স্কিনশটের মতো উইন্ডো আসবে।
এখানে Proxy Type: Real host, Real proxy type: SOCKS
এবং Proxy server: আপনি যেটা ইউজ করবেন সেটা আমি রবিতে চালাচ্ছি তাই রবির টা দিয়েছি।

সবকিছু ঠিকভাবে দিয়ে Save এ ক্লিক করে ওপেন করুন। এবার ভিপিএন কানেট দেন।


আর আরামসে চালাতে থাকেন। ভিপিএন ডিসকানেক্ট হবেই না  + ২জি তে চলবে।



বিঃদ্র- প্লিজ কেউ পোষ্ট কপি করবেন না। এতে আর ভাল কোন পোষ্ট করতে উঠসাহ পাই না।
Share:

November 17, 2016

এন্ডয়েড দিয়ে ফ্রি কল করার উপায়। কিভাবে বিশ্বের যেকোন নাম্বারে ফ্রি কল করবেন।



অনেকেই আমাকে বলেছেন কিভাবে ফ্রি কল করা যায় সেটা নিয়ে পোস্ট করতে। আমি অনেক খুজেও এই সফটওয়্যার টি ছাড়া আর কোন ভাল সফটওয়ার পাই নি। আর দুঃখিত যে এটা শুধু এন্ডয়েড এ কাজ করবে।
ফিচারঃ কল করতে এমবি লাগবে কিন্তু আপনি যে নাম্বারে কল করবেন ওই নাম্বারে ইন্টারনেট বা এমবি কিছুই লাগবে না। যেকোন সাধারন মোবাইলেও কল করতে পারবেন। আপনার মোবাইলে ১ এমবি দিয়ে ৫ মিনিটের মতো কথা বলতে পারবেন।আর এমবির পাশাপাশি মোবাইলে টাকা থাকলেও টাকা কাটবে না। এছাড়া দেশে বিদেশে সব নাম্বারেই কথা বলা যাবে। 

প্রথমেই নিচের লিংক থেকে      Click Here To Download

এপ টি ডাউনলোড করে নিন।
এবার আপনার মোবাইল এর ডাটা কানেকশন অন করে এপ টি অপেন করুন এরপর আপনার ফোন নাম্বার ও পছন্দ মত পাসওয়ার্ড দিয়ে Signup এ ক্লিক করেন।ব্যাস এবার কিছুক্ষন অপেক্ষা করলেই আপনা আপনি আপনার আইডি ভেরিফাই হয়ে যাবে। 

১. ক্লিয়ার ভয়েস কল।(২জি তেও অনেকটাই ক্লিয়ার আর
৩ জি হলে ত সোনায় সোহাগা)
২. টুটালি ফ্রি কল।(এক আনাও লাগবে না)
৩. প্রতি ১১৫(less then 2 mins) সেকেন্ডে ৫০ ক্রেডিট(আগে ৫ মিনিট এ ১০০ দিত)
৪. প্রতি রেফারেল এ ১০০০ ক্রেডিট।(বন্ধুর উপকার করবেন তাই ওরাও
আপানাকে গিফট দিবে)
৫. আপনার ওপর পাশের বন্ধুর নরমাল মোবাইল হলেও কথা
বলতে পারবেন।(আর কি লাগে!)
৬. ইউকে নাম্বার থেকে কল যাবে(কস কিরে!)
৭. সাইন আপ এর পরেই পাবেন ১০০০ ক্রেডিট।(ডেভেলপার রা কত্ত ভাল!)
♦কল কাস্ট:২৬০ ক্রেডিট/মিনিট ইন বাংলাদেশ(একটু বেশি না! এইটার থেকে ভাল আরেকটা আসুক এইটারে কিক দিয়া
আনইন্সটল করে দেবেন। বাট রাইট নাও, ইট ইজ দ্যা বেস্ট)
আপনি শুধু অ্যাড দেখে ১০ হাজার ক্রেডিট প্রতিদিন কালেক্ট করতে
পারবেন। বাকি ৩ অপশন ত আছেই।
এক কথায় বলতে গেলে অ্যাপটা অসাধারণ। শুধু নাম্বার ডায়াল
করুন আর কল করুন। এইটা ইউস করুন আর বাচানো টাকা
দিয়া এমবি কিনে ধুমসে নেট চালান।




ট্যাগঃ
ফ্রি কল করুন যে কোন দেশে,ফ্রি কল এন্ড্রয়েড,ফ্রি কল করার সফটওয়ার,ফ্রি কল ২০১৬,ফ্রি কল টিপস,ফ্রি কলিং এপ,ফ্রি কল করার উপায়,ফ্রি কল অ্যাপ,ফ্রি কল,ফ্রি কল এপস,অনলাইনে ফ্রি কল,আনলিমিটেড ফ্রি কল,ফ্রি ইন্টারনেট কল,ইন্টারনেটে ফ্রি কল,ফ্রী কল এন্ড্রয়েড,এয়ারটেল ফ্রি কল,এন্ড্রয়েডে ফ্রি কল,একদম ফ্রি কল,whatsapp এ ফ্রি কল,ফ্রি কল করার সফটওয়্যার,ফ্রি কল করার নিয়ম,ফ্রি কল করুন কম্পিউটার থেকে যেকোন মোবাইল নাম্বারে,ফ্রি কল করা,ফ্রি কল করুণ যেকোণ দেশে যেকোণ নাম্বারে কোণ টাকা লাগবে না,ফ্রি কল করার,ফ্রি কল জিপি,ফ্রী কল টিপস,ফ্রি কল মোবাইল টু মোবাইল,ফ্রী কল করুন দেশে বিদেশে আনলিমিটেড ১ টাকাও লাগবেনা,ফ্রি ফোন কল,ফেসবুক ফ্রি কল,ফেসবুকে ফ্রি কল,ফ্রি কল ব্লক,ফ্রী কল ব্লক,বিদেশে ফ্রি কল,ফ্রি ভয়েস কল,ফ্রি ভয়েজ কল,ফ্রি কল মোবাইল,মোবাইলে ফ্রি কল,মোবাইলে ফ্রি কল করা,কিভাবে ফ্রি কল করা যায়,ফ্রি কল সফটওয়্যার,ফ্রী কল সাইট,ফ্রী কল সফটওয়্যার,ফ্রী কল করার সফটওয়্যার,স্কাইপ ফ্রি কল,স্কাইপিতে ফ্রি কল,free call bd mobile,free call to bd mobile phone,online free call bd,free phone call bd,free call trick bd,gp free call bd,free internet call bd,free voice call bd,free call apps bd,free call tricks bd,free call bd,free call 2 bangladesh,free call for bd,ফ্রি কল এন্ড্রয়েড,এন্ড্রয়েড দিয়ে ফ্রি কল,এন্ড্রয়েডে ফ্রি কল
Share:

ফেসবুকের মেসেজ হাইড করার উপায়। কিভাবে ফেসবুকে চেট/মেসেজ হাইড করবেন।

আজ আপনাদের দেখাবো কিভাবে browser/ মেসেঞ্জার এ মেসেজ ডিলেট
না করে হাইড করে রাখা যায়। এটা খুব সিম্পল বাট সবাই তো আর সবটা পারে না।তাই যারা পারে না। তারা শিখে নিতে পারেন।
প্রথম এ মেসেঞ্জার লগিন করে নিন।
পরে এরকম আসবে।
এখান থেকে যার মেসেজ হাইড করতে চান তার মেসেজ এর উপর Long press/ চাপ দিয়ে ধরুন।

এখন এরকম আসবে।এখান থেকে Archive এ ক্লিক করুন।বাস কাজ শেষ।
ঊধাও নাম তো আর নাই মেসেজ নাই।!!!!!!
আর ব্রাউজার এর ক্ষেত্রে:-
FB লগিন করে message এ যান। যাকে হাইড করবেন তার নামে ক্লিক করে তার মেসেজ এ ডুকুন।পরে নিচে যান।
এখানে Archive এ ক্লিক করুন
—–
এখন প্রশ্ন হলো,
আপনি ওনাকে আবার মেসেজ দিবেন কিভাবে তাইতো।???
DON’T PANIC.
মে হো না…!
ব্রাউজার এ সার্চ দিয়ে কাংখিত ব্যক্তির প্রোফাইল এ ডুকে মেসেজ এ যান।
মেসেঞ্জার এরর ক্ষেত্রে:-
এখন messenger এর আপনি SEARCH for people group এ যান। যাকে হাইড করেছেন তার নামের কয়েকটা অক্ষর লিখেন পেয়ে যাবেন।
ক্লিক করেন। আবার মেসেজ শুরু করেন।
হাইড এ থাকবে। but মেসেজিং চলবে। হাইড থেকেই।এই দেখেন।

আর যদি আবার কোন কারনে হাইড মেসেজ আনহাইড হয়ে যায়। তবে আবার হাইড করে ফেলবেন।পুনরায় সার্চ করে আবার মেসেজ শুরু করবেন।
আর যদি আপনি উনহাইড করতে চান নিজেই। তবে খুব সহজ হবে যেকোনো ব্রাউজার এ FB লগিন করে Message এ যান।
নিচে যান।
একদম নিচে দেখবেন লেখা আছে View Archived Massages.

ক্লিক করুন।
তারপর যাকে আনহাইড করতে চান তার নামে ক্লিক করুন।
——
পরে নিচে যান।
দেখবেন লিখা আছে Unarchived .
——
ক্লিক করুন আবার search দিয়ে কয়েকটা মেসেজ করেন তাহলেই আনহাইড হয়ে মেসেজ সিরিয়াল এ এসে যাবে।
—-
[[messenger দিয়ে চালানোর ক্ষেত্রে একটু আনহাইড করা মেসেজকৃত ব্যক্তির নাম, চ্যাট লিস্ট এ দেরিতে আসে।তবে মেসেঞ্জার এ লগ আউট দিয়ে লগিন করলে এসে পরবে।]]
কোন প্রব্লেম হলে কমেন্ট করুন।
Share:

November 14, 2016

জিপির সোসাইল প্যাক বা ফেসবুকের এমবি দিয়ে যেকোন সাইট ভিজিট করুন এবং ডাউনলোড করুন।

GP Free Internet with Social pack
কয়েকদিন আগেও জিপিতে ফ্রি নেট ইউজ করেছিলাম।কিন্তু এখন হারামি জিপি ফ্রি নেট বন্ধ করে দিছে।তাই নতুন কোন উপায় খুজতে গিয়ে এই উপায়টি পেলাম।

জিপিতে Social Pack এর ডাটার দাম অনেক কম। ১৮টাকায় ১জিবি পাওয়া যায় ৩০দিনের জন্য। কিন্তু এই এমবি দিয়ে শুধু ফেসবুক চালানো যায় আর কিছু চলে না। আর অন্য সাইট চালাতে ১জিবির দাম প্রায় ৮৯+ভ্যাট ৭দিনের জন্য। তাহলে বুঝুন সোসাইল প্যাক কত সস্তা।তাই আমি আমি দেখাচ্ছি কিভাবে সোসাইল প্যাক এর এমবি গুলা দিয়ে যেকোন সাইট ব্রাউজিং এবং ডাউনলোড করা যায়।


প্রথমে আপনার মোবাইলে Setting >> More network >> Access point setting >> add new >>> 


Name: Free By Fibd
APN: gpinternet

এখানে apn টা ছোট অক্ষর দিয়ে লিখবেন।নাইলে হপবে না।


ফ্রীনেট চালাতে হলে আর একটা কাজ করতে হবে
*৫০০০*৭৮# (পেকেজ না কিনলে হবে না)
১৮ টাকাই ১ জিবি ফেসবুক পেকজটা কিনে নেন…

এবার Android ব্যবহার কারীরা নিচের লিংক থেকে আমার মোড করা UC টা ডাউনলোড করে নিন।

Java,Symbian রা গুগুল থেকে Handler Uc Or Opera ডাউনলোড করে নেন…
এখন এপ্সটি ওপেন করেন…..

Remove Port এ → টিক দেন
Proxy Type – Real Host
Proxy Server– m.facebook.com


ঠিক মত সব কিছু বসিয়ে অকে দেন…..
এখন আনলিমিটেড ব্রাউসিং করতে পারবেন
ডাউনলোড করতে নিচের মত কাজ করতে হবে….
এখন যে কাজটা করতে হবে

Address বারে গিয়ে লিখবেন Http://hideip.co
এখন ঐ সাইটে চলে যাবে ঐ সাইটে গিয়ে দেখবেন একটা ফাকা বক্স আছে ঐ বক্সে আপনার ডাউনলোড করার জন্য যে সাইটে যেতে চান ঐ সাইটের নাম লিখে Go দেন
Share:

November 12, 2016

Folio pro-ফেসবুক সহজে এবং কম খরচে ব্যাবহার করার চরম একটি অ্যাপ

Folio For Facebook pro-ফেসবুক ব্যাবহার করুন আরো সহজে।চরম সব ফিচার দিয়ে অ্যাপ টি বানানো হয়েছে।সব ধরনের ইউজার দের কথা মাথায় রেখে অ্যাপ টি তৈরি করা হয়েছে।আপনার ডাটা খরছ অনেক কম হবে।
এটি পেইড ভার্সন প্লে স্টোর এ এর মূল্য $১.৫৭ ফ্রি তে ডাউনলোড করে নিন।
App name:Folio pro
size:4.5mb

ফেসবুক আমাদের জীবনের একটা অংশ বলা যায়।এক দিন ফেসবুক এ না আসলে মনে হয় পেটের ভাত হজম হয় না।
কিন্তু ফেসবুক চালানোর জন্য মেগাবাইট লাগবে।এতে অনেক খরচ হয় যা আমাদের মত ছাত্র দের কাছে বেশি।এই জন্য সব দিক বিবেচনা করে এই নতুন অ্যাপ টি বার করা হয়েছে।ইতিমধ্যে অনেক জনপ্রিয় তা পেয়েছে অ্যাপ টি।
অ্যাপ টি সাজানো হয়েছে অসাধারণ ভাবে।আপনাকে মুগ্ধ করবে এমন অনেক ফিচার আছে।খুব ফাস্ট যে কোন পেজ লোড নেয়।যারা এখন ২জি তে আছেন তাদের জন্য এই অ্যাপ টি চরম হবে।
একবার ব্যাবহার করে দেখুন কেমন লাগে।আমি ১বছর থেকে ব্যাবহার করি।
Share:

কয়েক প্রহরের ইতিকথা

কয়েক প্রহরের ইতিকথা
ঢাকা শহরের অলিগলি কোথাও "টু লেট" লেখা নোটিশের অভাব নেই। নোটিশে উল্লেখ থাকুক আর নাই থাকুক, এই টু লেট এর আশায় থাকায় বাড়িওয়ালারা একেবারে মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দেয় যদি কোন ব্যাচেলর ভাড়া নিতে যায়। যেই শোনে বিয়ে হয়নি, কয়েকজন বন্ধু থাকবে বাড়িতে, ভুত দেখার মত চমকে ওঠে তারা, ভাবটা এমন চোখের সামনে সাক্ষাৎ ইবলিশ অথবা কোন নরকের কীট দাঁড়িয়ে আছে। মাছি তাড়ানোর ভঙ্গিতে হাত নেড়ে ভাগিয়ে দেয়ার সময় তাদের চোখে মুখে রাজ্যের বিরক্তি ফুটে ওঠে, যেন কস্মিন কালেও তারা ব্যাচেলর ছিলনা। ভালবাসা কপালগুণে যাও বা দু একটা মেলে, "ভাল বাসা" টা এই বাজারে একেবারে দুর্মূল্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্টুডেন্ট লাইফ শেষে হলের রাজা বাদশাহ হালের জীবন ছেড়ে যখন বাসা খুঁজতে বের হলাম, কত বাসায় যে এরকম পরিস্থিতির শিকার হয়েছি তা আর নাই বা বললাম।ভাল কোন মেসে আমরা চার বন্ধু হয়ত থাকতে পারতাম কিন্তু একসাথে চারটা সিট পাচ্ছিলাম না।এইজন্য এই বাসা খুঁজার হ্যাপা। একবার বাসা খুঁজতে গিয়ে একটা বাসা বেশ পছন্দ হল, আসলে ভাড়াটা কম এই কারণে পছন্দ হয়েছিল বেশি। বাড়িওয়ালার সাথে কথা বলতে গেলে বাড়িওয়ালা রীতিমত ইন্টারভিউ নেয়া শুরু করল। দুই এক কথার পরই বিয়ে করেছি কি না জানতে চাইলে আমি চোখ মুখ বন্ধ করে বলে ফেললাম, সেই কবে ! পাশে দাঁড়ানো মিজান আমাকে একটা চিমটি কাটলেও পাত্তা দিলাম না। ছোটখাট দেখতে মিজান কে দেখিয়ে বললাম, আমার চাচাত ভাই মিজান, ভার্সিটিতে চান্স পেয়েছে।আমাদের সাথেই থাকবে। বাড়িওয়ালা জিজ্ঞেস করল, পরিবার কোথায় থাকে? বললাম, রাজশাহী ভার্সিটিতে পড়ে। ছুটি হলে এখানে এসে থাকবে। বড়িওয়ালা ঠোঁট উল্টিয়ে বলে, ও! তাইলে সবসময় থাকবেনা ! তাইলে তো বাপু সমস্যা। তোমাদের উঠতি বয়স। এই বয়সে পরিবার ছেড়ে থাকবা। ব্যাপারটা মোটেই সুবিধার না। তোমরা বাপু, অন্য কোথাও দেখ।"

মনে মনে বাড়িওয়ালার চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধার করতে করতে বের হতে যাব, এমন সময় অফিসের বসের ফোন। বললেন, পরেরদিন কি একটা জরুরী মিটিং আছে, উনি অফিসে থাকবেন না, আরো কিছু কাজ বুঝিয়ে দিলেন।কথা শেষ করতেই বাড়িওয়ালা আবার জিজ্ঞেস করে, কোথায় চাকরি করি। কোম্পানীর নাম বলতেই উনি বলেন যে উনার বোনের ছেলেও নাকি একই অফিসে চাকরি করে।সিনিয়র ম্যানেজার। নাম বলতেই চমকে উঠলাম, কারণ উনার বোনপো ই তাহলে একটু আগে ফোন দিয়েছিলেন। বাড়িওয়ালাকে সেই কথা জানাতেই বাড়িওয়ালা একেবারে গদগদ হয়ে বললেন, আগে বলবা না?তুমি রশিদের অফিসে চাকরি কর? যাক,তাইলে ভরসা পাইলাম। যাইহোক, রশিদের অফিসের ছেলে বলে তোমাকে আমি বাড়ি ভাড়া দিচ্ছি,কিন্তু আগেই বলে রাখছি কোন রকম উল্টা পাল্টা কাজ কিন্তু এই ফ্ল্যাটে চলবেনা,আশপাশে সব ভদ্রলোক থাকে।রাতবিরেতে চিল্লাচিল্লি একদম সহ্য করব না । জ্বী, আজ্ঞে, অবশ্যই ইত্যাদি মুখস্থ বুলি আউড়ে বাসা থেকে বের হতেই মিজান কষে একটা রামধমক লাগাল আমাকে।বলল, আমি বউ কোথা থেকে আমদানি করব? আমি বললাম, দেখ বাড়িওয়ালা নিজে থাকে রামপুরা, তার খেয়েদেয়ে কাজ নেই উত্তরার প্রায় শেষ মাথায় এসে দেখতে যাবে আমার ঘরে বৌ আছে কি না !আর আসলেও সে পরে দেখা যাবে।আগে বাসায় তো উঠি।

বাসা পাল্টানো ঝামেলা সব শেষ হলে আমরা চারজন ব্যাচেলর কায়দায় সব গুছিয়ে নিলাম। আসবাবপত্রের তো বালাই নেই, ঘরে ঘরে তোষক বালিশেই চলে আমাদের সংসার রাজত্ব। নতুন বাসার বারান্দায় দাঁড়াতেই মনটা ভাল হয়ে গেল। বারান্দা থেকে একটা ঝিল বা পুকুর টাইপ দেখতে পাওয়া যায়, যদিও কচুরিপানা ভর্তি! কিন্তু তাতে কি, চোখ জুড়ানোর জন্য এতটুকু সবুজই যথেষ্ট । পাশে একটা খেলার মাঠ। আসলে এই ফ্ল্যাটটা একটা ডেভলপার কোম্পানির হাউজিং প্রকল্পের মধ্যে, আশপাশে আরো দশ বিশতলা বিল্ডিং মাথা গজাবে রাতারাতি, তখন না থাকবে ঝিল, না থাকবে খেলার মাঠ। তবুও যতদিন থাকে, ওইটাই লাভ।

আমার চাকরির বয়স এখনো এক মাস হয়নি, বাকি তিনজনেরও মটামুটি এক দশা, মিজান আবার আরেক কাঠি সরেস। সে চাকরি বাকরি করবেনা, ফিল্ম বানাবে! অফিস শেষে বাইরে কিছুক্ষণ আড্ডাবাজি করে বাসায় ফিরতে আমাদের বেশ রাত হয়ে যায়। একে নতুন বাসা, কোন বুয়া ঠিক করা হয়নি, তার উপরে আমরা যেই সময়ে বাসায় ফিরি ওই সময়ে রান্না করার জন্য বুয়া পাওয়া মোটামুটি অসম্ভব। তাই চারজন একে অন্যকে রান্নার জন্য ঠেলাঠেলি করতে থাকি। শেষমেশ একেকজনের রন্ধন নৈপুণ্যে যা বস্তু রান্না হয়, তাই গোগ্রাসে গিলি, আর তো কোন উপায় নেই। তবে আমরা চারজনে একটা বিষয়ে একমত, খিচুড়ি আর ডিমভাজা জিনিসটা যেই আবিষ্কার করুক ব্যাচেলর সমাজের দোয়ায় সে জান্নাতবাসী হওয়ার কথা ! এই দুইটা জিনিস না থাকলে ব্যাচেলর সমাজকে বেশিরভাগ দিন অনাহারে থাকা লাগত ।

খাওয়াদাওয়া শেষ হলেই বাকি তিনজন মোবাইল কানে কেউ বারান্দায়, কেউ ড্রয়িং রুমে, কেউ ঘরের কোণার দিকে আয়েশ করে আল্ট্রাসনিক সাউন্ডে প্রেমালাপ চালাতে থাকে। রাত বাড়ার সাথে সাথে আওয়াজ কমতে থাকে আর সম্বোধনটা পাল্টে গিয়ে বাবুসোনা, বেবি, লক্ষী, কিউটু মিউটু এরকম কত আজব আজব শব্দ বের হতে থাকে। আগে এসব শুনে হেসে গড়াগড়ি খেতাম, এখন বুঝছি, প্রেমের রাজ্যে কথাবার্তা উন্মাদীয়, ধরতে গেলে চলে না। এই সময়ে আমি গেম খেলি, গান গাই আর ওদের পাশে গিয়ে চিল্লাপাল্লা করে ডিস্টার্ব করি, ওরা অবশ্য আমাকে শাসায়, তোর ও একদিন পালা আসবে, তখন দেখিস, তিনজন মিলে জ্বালাব। আমি হাসি আর ভাবি মনে মনে, সাত মণ ঘিও জুটবে না, রাধাও নাচবে না বাছাধন !

বাসায় উঠার সপ্তাহ দুয়েক পর একদিন বাসার কেয়ারটেকার জানাল, বাসার মালিক নাকি পরের শুক্রবার আসবে , কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা দেখতে। এই কথা শুনেই তো বিপদে পড়ে গেলাম। বউ নেই সেইটা না হয় বুঝানো যাবে, কিন্তু বাসায় ঢুকলেই তো বুঝা যাওয়ার কথা। চার চারটা ব্যাচেলর ছেলে থাকে যেই বাসায় সেইটার সাথে গোয়াল ঘরের বিশেষ কোন পার্থক্য থাকেনা। অনেক জল্পনা কল্পনা করে ঠিক করা হল, এক সপ্তাহ পরে মিজানের মায়ের আর ছোট ভাইয়ের ঢাকায় আসার কথা, আন্টিকে বলে কয়ে যদি কয়েকদিন আগে আনানো যায়, তাহলেই সব সমস্যার সমাধান। মিজান বাসায় কথা বলে অবশ্য কিছুক্ষণ পর সেই সমস্যার সমাধান করে ফেলল। আন্টি একদিন পরেই আসতে রাজি হলেন।

দুইদিন পর আমি অফিস থেকে ফেরার পথে জ্যামে আটকে বসে আছি বাসে। তখন রাত আটটা বেজে গেছে। হঠাৎ ফোনে নিশার কল।ভার্সিটি তে আমাদের যেই হাউকাউ গ্রুপটা আছে, নিশাও সেই গ্রুপের সদস্য, এককথায় বলতে গেলে রাজ্যের যত উদ্ভট কাজকর্ম করাই ছিল আমাদের ডেইলি রুটিন । আমাদের গ্রুপের পাঁচজন ছেলে আর তিনজন মেয়ে, মেয়েদের মাঝে নিশার সাথেই আমার কেন যেন খিটিমিটি লাগে বেশি, ওকে খেপাইতে আমি বিমলানন্দ পাই। নিশার সাথে যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক, সেটা বন্ধুত্ব ছাড়িয়ে অন্যকিছুতে রূপ দেয়ার কথা আমাদের কারো মাথাতেই আসেনি, আর কিছুদিন হল, নিশার এক প্রবাসী পাত্রের সাথে বিয়েও ঠিক হয়েছে। ফোন ধরতেই ওপাশে নিশা কান্না শুরু করে দিয়েছে।বারবার আমাকে অনুরোধ করছিল, একবার ওর বাসার নিচে যেতে। ওর অনেক বিপদ। আমি আগেপিছে চিন্তা না করে বাস থেকে নেমেই কিছুদূর জোরে হেঁটে রিকশা নিলাম। ভাগ্য ভাল, নিশার বাসা ওখান থেকে দূরে না খুব একটা। নিশাদের বাসার নিচে এসে ফোন দিতেই নিশা বলল বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দাঁড়াতে, ওখানে আছে সে। দেরি না করে ওর কাছে পৌছালাম, ওকে দেখেই বুঝা যাচ্ছে, প্রচন্ড ভয় পেয়েছে সে। একটা সি এন জি তে উঠেই জিজ্ঞেস করলাম কোথায় যাব। নিশা বলে, জানিনা। এই কথা শুনেই আমার মাথায় বাজ পড়ল। এত রাতে নিশাকে নিয়ে আমি কোথায় যাব! অত কিছু চিন্তা না করে আমাদের ফ্ল্যাটে নেয়ার চিন্তা করলাম।আন্টি যেহেতু বাসায় আছে, হয়ত বলে কয়ে ম্যানেজ করা যাবে। নিশা একটু শান্ত হলে ও নিজেই জানাল সব কথা- তুই তো জানিস আমি বড় আপার বাসায় থাকি। ছোট আপার কয়েকদিনে বেবি হবে বলে আপা আজ সকালেই ছোট আপার বাসা কুমিল্লা গিয়েছে। আমার দুইটা চাকরির পরীক্ষা আছে সামনে, তাই আর আমাকে নেয়নি। আমি চার বছর ধরে আপার বাসায় থাকি। বয়সে দ্বিগুণ দুলাভাইকে বাবা বলেই জানি। কিন্তু কুত্তার বাচ্চাটা আজ......এইটুকু বলেই ফোঁপাতে শুরু করে নিশা। তারপর আবার বলে, কোনমতে পালিয়ে এসেছি। আনিকা, রাত্রি আর তিন্নিকে ফোন দিলাম প্রথমে। আনিকা, রাত্রি দুইজনেই ঢাকা নেই, আর তিন্নির শ্বশুরবাড়িতে থাকা সম্ভব না আসলে। তাই তোকে বাধ্য হয়ে ফোন দিয়েছি ।

বাসায় ঢুকতেই আমার সাথে নিশাকে দেখে ভ্রু কুঁচকে আন্টি জিজ্ঞেস করলেন, এইটা কে ?আমি কিছু বলার আগেই মিজান বলে বসল, আম্মা , এটা আরিফের বউ। রাজশাহীতে পড়ে। ছুটিতে এসেছে আজকেই। নিশা অপ্রস্তুত হয়ে কি করবে বুঝতে না পেরে আন্টিকে সালাম দিল একটা ।এরপর আন্টি কথা প্রসঙ্গেই নিশার বাবা মা কি করে, কোথায় থাকে, কবে বিয়ে হল, দুজন আলাদা থাকতে কষ্ট হয় কিনা এই ধরনের কান গরম করা প্রশ্ন করে যাচ্ছিলেন, কোনরকমে চাপা মেরে উত্তর দেয়া ছাড়া নিশার আর গতি ছিলনা। আমি মিজানকে বারান্দায় টেনে নিয়ে নিশার ব্যাপারটা খুলে বলাতে মিজান বুঝল। এরপর আন্টিকে ওই ম্যানেজ করেছিল।

সত্যি সত্যি শুক্রবারে বাড়িওয়ালা এসে হাজির হলেও মিজানের মা, নিশা কে দেখে উনার আর কোন সন্দেহই থাকেনি। তবুও রক্ষা যে আন্টি ছিলেন, না হলে নিশার থাকা নিয়ে বড় রকমের ঝামেলা হয়ে যেত। প্রথম প্রথম আন্টি বউমা বলে ডাকলে নিশা আড়ষ্ট হত, কয়দিন যেতেই হয়ত সেটা অভ্যাস হয়ে গেছিল। আমাদের হাসি, আড্ডা, পচানি, পিছে লাগা আর বাঁদরামির তোড়েই নিশার সেই সঙ্কোচ হয়ত উবে গেছে। মাঝরাতে আমাদের হাসি ঠাট্টা, মারামারির শব্দে পাশের রুমে থাকা নিশা আর আন্টি কয়েকবার কপট ধমক দিয়ে যায় , মাঝে মাঝে নিশা আমাদের রান্নার ট্রেনিং দেয়, আর এক হাতেই অসাধারন নিপুনতায় আমাদের ব্যাচেলর ফ্ল্যাটের শ্রী ফেরানোর ব্যর্থ চেষ্টা করে। কিছুদিন আগেও ডাইনিং কাম ড্রয়িং এ অফিস থেকে ফেরার পর জুতা, মোজা, কাপড়, অফিস ব্যাগ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায় যেত, এখন সেগুলো যার যার জায়গামত দেখা যায় ।আশ্চর্য ব্যাপার হল, নিশাকে গুছিয়ে রাখতে হয়না কিছুই, আমরা নিজেরাই গুছিয়ে রাখি তার মেইল ট্রেনের মত লম্বাচওড়া একটা লেকচারের ভয়ে।বাড়ির বউ এর ভূমিকায় অভিনয় করতে থাকা নিশা কিভাবে যে আমাদের এই আটপৌরে জীবনের নিদারুণ অভ্যাস হয়ে উঠেছিল, আমরা কেউই খেয়াল করিনি.........

একদিন সন্ধ্যায় ফিরেই দেখি নিশা বারান্দায় মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে আছে, কি হয়েছে জানতে চাইলে এড়িয়ে যায়। জোরাজুরি করলে বলে, আন্টি দুদিন পরে চলে যাবে। এর মাঝে যেন আমি একটা হোস্টেলের ব্যবস্থা করে দেই ওকে। আন্টি চলে গেলে তো আর এখানে থাকা সম্ভব না। কথাটা শুনে সেই প্রথম আমার বুকের মধ্যে হাহাকার করে ওঠে! এই কয়েকদিন আমার কাছে স্বপ্নের মত মনে হতে থাকে। আমি ভুলে গিয়েছিলাম, এই নিশা আমার না, অন্য কোন রাজপুত্রের জন্য অহর্নিশ অপেক্ষায় দিন গুণছে। আমি শুধু বন্ধু হিসাবে কয়েকদিন ওকে আশ্রয় দিয়েছি, আর কিচ্ছুনা, ও আমার কেউনা ......এই অদ্ভুত অনুভূতিটার নামই হয়ত ভালবাসা। নাকি মোহ কিনা কে জানে! তবুও এই অনুভূতিটা আমার ভীষণ রকম অচেনা, কি জানি মনের কোন গভীরে বিষণ্ণ একটা সুর বেজে ওঠে, সামনে থাকা এই অদ্ভুত মেয়েটাকে একটা ঝাঁকি দিয়ে কেন বলতে ইচ্ছা করে, "মেয়ে তোর কত্ত বড় সাহস! আমাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা বলিস! না, তুই কোথাও যাবিনা, এইখানেই থাকবি,এইখানেই, এখন যেমন আছিস"!!

-আচ্ছা, তুই কি আমার কথা শুনছিস? নাকি তপস্যা করছিস? দেশ ও দশের গুরুতর চিন্তায় তোর পেটের ভাত হজম হচ্ছেনা?নাকি প্রেমে পড়েছিস?

: হু, শুনতেছি তো, কালকে তোর হোস্টেলের ব্যাবস্থা হয়ে যাবে। আর কিছু বলবি?

-আচ্ছা শোন, তোর ল্যাপটপটা আমাকে আজ একটু দিস তো। কয়েকটা জায়গায় সিভি মেইল করব।

:ল্যাপটপ দেয়া যাবেনা, পেনড্রাইভে সিভি দিস আর অ্যাড্রেস দিস ,আমি মেইল করে দেব।

-ক্যান, তোর ল্যাপটপ আমাকে দিলে কি কর্পূরের মত উবে যাবে?

:শোন, তুই আসলে আস্ত গাধী। এটুকুও জানিস না, মেয়েদের হ্যান্ডব্যাগ আর ছেলেদের ল্যাপটপ না বলে ধরতে নাই ??

- আচ্ছা, হইছে থাক, লাগবেনা......দেখ, সামনের পুকুরটা সুন্দর না?আমার খুব ইচ্ছা, আমার বাড়ির সামনে একটা দীঘি, পুকুর যাই হোক এরকম কিছু একটা থাকবে।

:কেন,তাতে কি মাগুর মাছ চাষ করবি?

-আচ্ছা, তুই এরকম বেরসিক কেন, ন্যুনতম সৌন্দর্য বোধ নেই !

:ওরে আমার সৌন্দর্যের ডিব্বা রে, তোর সৌন্দর্য বোধের বলিহারি যাই। আমার মত এরকম হ্যান্ডসাম পোলা রেখে কাতল মাছের মত বিশাল মাথাওয়ালা রাকিব ভাইরে বিয়ে করার জন্য রাজি হয়ে গেলি, আর আমাকে সৌন্দর্য জ্ঞান দিস! যা ভাগ

: এহ! তুই সুন্দর! দেশে কি সুন্দর ছেলের আকাল পড়ল নাকি রে হঠাৎ ? তোকে দেখলেই ডারউইনের তত্ত্বের আই মিন মানুষ যে বান্দরের বিবর্তনের ফল, তার একেবারে ব্যাবহারিক প্রমাণ পাওয়া যায়...

আমাদের এই ঝগড়া জমে উঠার আগেই আন্টি রাতে খাওয়ার জন্য ডাক দিলেন। নিশা চলে যাবে এই চিন্তাতেই বোধ হয় সেদিন রাতে আমার কুম্ভকর্ণ খেতাবটা প্রায় হাতছাড়া হতে বসেছিল। আ মর জ্বালা, এরকম তো হবার কথা ছিল না। নিশা মেয়েটা একটা আস্ত গাধী, নেকু নেকু কথা বলতেও জানেনা, তাছাড়া এক হাবলাকান্তের হবু বউ, ওর জন্য যে আমার পরান জ্বলে যাচ্ছে কেন , সারারাত ভেবেও আমি কূলকিনারা করতে পারলাম না। এমনকি অফিসের লাঞ্চে স্পেশাল যে তেহারী দিয়েছিল, সেটাতে পর্যন্ত আমি কোন স্বাদ খুঁজে পেলামনা। অফিস থেকে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে নিশার জন্য অনেক খুঁজে পেতে তিনমাসের এডভান্স দেয়ার শর্তে একটা হোস্টেল পেলাম।তেমন আহামরি না হলেও চলে আর কি, আসলে এখন সব হোস্টেলই বলতে গেলে একইরকম, বাইরে ফিটফাট, ভেতরে সদরঘাট। হঠাৎ কি মনে হল, আচ্ছা আজকে বরং বাসায় না ফিরে কোন বন্ধুর মেসে যাই। আসলে নিশার মুখোমুখি হতে ইচ্ছা করছিলনা কেন যেন। মেয়েরা নাকি চোখের ভাষা পড়তে জানে। ভয় হচ্ছিল, যদি ধরা পড়ে যাই!!

বন্ধুর মেসে পৌঁছেই মিজানকে জানিয়ে দিয়েছিলাম যে জরুরী কাজে আটকে গেছে, বাসায় ফিরবনা...আর নিশাকে হোস্টেলের ডিটেইলস জানিয়ে একটা মেসেজ দিয়েছিলাম। সারারাত বন্ধুর মেসে আড্ডাবাজি করে চোখে রাজ্যের ঘুম নিয়ে অফিসে গেলাম। অফিস শেষেও একটু দেরী করে বাসায় ফিরলাম। ভীষণ রকম দোটানায় ছিলাম, খুব চাচ্ছিলাম যেন বাসায় ফিরে নিশার ভেটকি মারা হাসিমুখ দেখতে পাই, আবার মনে হচ্ছিল, মায়া বাড়িয়ে লাভ কি, নিশা যেন আগেই চলে যায়। বিল্ডিং এর নিচে যেতেই রিসেপশনের লোকটা একটা স্ট্যাপল করা খাম আর ঘরের চাবিটা হাতে দিয়ে বলল, "ভাবী আপনাকে দিতে বলেছে।"

"ভাবী" শব্দটা শুনেই বুকের মধ্যে ছ্যাঁত করে উঠল। কি ভীষণরকম রসিকতা !যে শব্দের মায়াজাল কাটাতেই নিজের থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছি সেইসব শব্দের অশরীরী ভুতেরা তাড়া করে আমাকেই খুঁজে বেড়াচ্ছে !! মাথার মধ্যে তখন এই লাইনটাই কেবল ঘুরছিল- " যেটা ছিলনা, ছিলনা, সেটা না পাওয়াই থাক, সব পেলে নষ্ট জীবন" । ঘরে ঢুকে নিশার খামটা খুলে ভেতরের চিঠিটা বের করলাম।মাত্র দুটো লাইন লেখা-

" আরিফ, তেরটা দিন জীবনের হিসাবে খুব বেশিরকম অল্প সময়, কিন্তু তোর বাসায় থাকা এই তেরটা দিন আমার জীবনের সেরা তের দিন। ভাল থাকিস আর আমার চেয়েও সৌভাগ্যবতী রাজকন্যা তাড়াতাড়ি খুঁজে নিস।"

আচ্ছা! এই মেয়েটা এমন কেন! আমার জন্য আর মাত্র একটা ঘণ্টা ওয়েট করে গেলে কি তার মনের রাজ্যের হাতিশালের হাতি আর ঘোড়াশালের ঘোড়া অদল বদল হয়ে যেত! সাধে কি আর আমি তাকে গাধী বলি! আসছে একজন মহিলা হাতেম তায়ী, আমাকে উপদেশ দিচ্ছে-" আমার চেয়েও সৌভাগ্যবতী রাজকন্যা খুঁজে নিস"। ক্যান রে বাপ, ফার্স্ট প্লেস টা নিজে ছেড়ে দিয়ে সেকেন্ড প্লেস টা নেয়ার এতই খায়েশ !? গাধী মেয়েটা কখনোই জানবেও না, আমি শুধু তার চশমার ওপাশের জলপুকুরের থৈ থৈ উপচে পড়া জল মুছে দিতে চেয়েছিলাম, এক শ্রাবণ বিকেলে সামনের মাঠটাতে দুহাত ধরে ভিজতে চেয়েছিলাম, আর শুধু একবার গালে লেপ্টে থাকা চুলগুলো সরিয়ে বলতে চেয়েছিলাম, তুই একটা আস্ত গাধী, তবে জানিস তো, গাধার জন্যই গাধী পারফেক্ট.........

কিছুই বলা হয়নি নিশা নামের পাগলী মেয়েটাকে, তের দিনের মিথ্যে বউ এর অভিনয়ে লণ্ডভণ্ড করে দেয়া এই আমার মনের জানালাটা বন্ধ করে দেয়ার আগেই সেখানে চৈত্রের খরা জায়গা নিয়েছে, আর সঙ্গোপনে জমে গিয়েছে, কয়েক প্রহরের ভালবাসার ইতিবৃত্ত !!

----------------------------O---------------------------
Share:
Copyright © Fibd - Tips & Trick Sharing BD | Powered by Blogger