কবুতর পালন করে অনেক
লাভবান হওয়া যায়। এখন অনেকেই দেখা যায় শুধু শুধু অনলাইনে বলে যে আমাকে এমন একটা
উপায় খুজে দিন যাতে আমি নিজে নিজের পড়ালেখার খরচ চালাতে পারি। হুম ভাই এই পোষ্ট
তোমাদের জন্য।কবুতর পালন আসলেই অনেক লাভজনক। একজোড়া কবুতর যদি ১০০০টাকা দিয়ে ক্রয়
করা হয় তাহলে তা প্রতি মাসে ১জোড়া বাচ্চা দিবে। আর কবুতরের প্রতি জোড়া বাচ্চার দাম
প্রায় ৩০০+টাকা। তো বুঝতেই পারছ। তুমি যদি ১জোড়া কিনে এর থেকে বাচ্চা গুলো বড় করে
৫জোড়া বানাতে পারো তাহলে প্রতি মাসে কমপক্ষে ১২০০টাকা আয় করা যায়। আর কবুতরের রোগ
বালাই হয়না বললেই চলে। তাছাড়া কবুতর নিজের খাদ্য নিজেই জোগাড় করে খেতে পারে। আর এর
জন্য বেশি জায়গার প্রয়োজন হয় না। বাংলাদেশে গ্রাম অঞ্চলে প্রায় সব বাড়িতেই কবুতর
পালন করা হয়। কিন্তু তারা যে ভুলটি করে তা হল তারা কম দামী কবুতর পালন করে। কিন্তু
দেখা যায় যেখানে কম দামী দেশি কবুতর গুলো যে খাবার খায় বিদেশি কবুতর গুলাও সমানই
খায়। কিন্তু দেশি কবুতর গুলোর দাম কম। তাই যতটা সম্ভর একটু দামী কবুতর পালন করার
চেষ্টা করতে হবে।
কবুতর পালনের গুরুত্বঃ
1.
এক জোড়া কবুতর
থেকে বছরে ১২ জোড়া বাচ্চা পাওয়া যায়।
2.
কবুতর ৫-৬মাস
বয়সে ডিম দেয়।
3.
কবুতর পালনে
জায়গা কম লাগে।
4.
পড়ালেখা ও
অন্যান্য কাজের পাশাপাশি পালন করা যায়।
5.
কবুতরের রোগ-বালাই
কম হয় বলে অন্যান্য পোল্ট্রির চেয়ে কবুতর পালন সহজ হয়।
6.
কবুতরের ডিম থেকে
বাচ্চা ফুটতে ১৮দিন সময় লাগে যেখানে অন্যান্য পোল্ট্রির আরো অনেক বেশি দিন লাগে।
7.
সখ করেও অনেকে
কবুতর পালন করে।
8.
কবতর শান্তশিষ্ট
বলে বিরক্ত করে না।
9.
কবুতর পালনে
শ্রমিকের প্রয়োজন হয় না।
10.
কবুতরের মাংস
অনেক সুস্বাধু এবং অনেক রোগের পথ্য।
কবুতর পালনের পদ্দতিঃ
কবুতর তিন ভাবে পালন করা
যায়।
·
মুক্ত পদ্দতিঃ এই পদ্দতিতে মূলত গ্রাম অঞ্চলে বেশি পালন করা হয়। এই পদ্দতি
হল কবুতরকে সারাদিন ছেড়ে দেওয়া হয় এবং সন্ধায় কবুতর বাসায় ডুকে।
·
আবদ্ধ পদ্দতিঃ সাধারনত শহর অঞ্চলে অল্প জায়গায় এই পদ্দতিতে পালন করা হয়।
এতে আবদ্ধ জায়গায় কবুতরকে বন্ধী রেখে পালন করা হয়।
·
অর্ধ আবদ্ধ পদ্দতিঃ এই পদ্দতিতে সাধারন্ত বড় জালের খাচায় পালন করা হয়। এতে
অনেক বড় আঙিনা রাখতে হয়।
কবুতরের খাদ্যঃ
কবুতর সাধারনত ধান, গম,
মটর, খেসারি, ভুট্টাভাঙা, সরিষা, কলাই, চাল, কাউন, জোয়ার ইত্যাদি খায়। তবে আমাদের
দেশে বাসা-বাড়িতে কবুতর পালন করলে শুধু ধান, গম, সরিষা, ভুট্টা ভাত এগুলাই
খাওয়ায়। অর্থনৈতিক উদ্দেশ্য পালন করলে
সুষম খাদ্য খাওয়ানোর চেষ্টা করতে হবে। কবুতরকে প্রচুর পানি দিতে হবে। পানি না খেলে
কবুতর রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ে আর শারীরিক ভাবে মোটা তাজা হয় না। তাই পানির ব্যবস্থা
রাখতে হবে।
কবুতরের বাচ্চা উৎপাদনঃ
কবুতরের বাচ্চা ফুটতে ১৮
দিন লাগে। পুরুষ কবুতর ও স্ত্রী কবুতর এক সাথে ডিমে তাপ দেয়। বাচ্চা ফুটলে বাচ্চা মা-বা
কবুতরেই খাওয়াবে। এই জন্য খাবার ও পানি সামনে রাখতে হবে। ২৫দিন পর থেকে বাচ্চা
নিজেই খেতে পারে। ৩৫ দিন হলে বাচ্চাকে মা-বাবা থেকে আলাদা করে রাখতে হবে। তাহলে
নতুন জোড়ার উৎপত্তি হবে।
আসসালামু আলাইকুম
ReplyDeleteএডমিন ভাই আপনার প্রতি একটা সাহায্য কামনা করছি
ওয়ালাইকুম সালাম।
Deleteজি ভাই কি সাহায্য বলুন। আমি করার চেষ্টা করবো।
ফেসবুকে মেসেজে বললে ভাল হয়-
http://facebook.com/firakibbd
পরিচয় দিয়েন আগে
This comment has been removed by the author.
ReplyDeleteভাইয়া আমি মাহমুদুল হাসান।
ReplyDeleteআমার একটি blogger সাইট রয়েছে।
এর জন্য আপনার সাহায্য চাই সাইটটি হলো আলোর পথ বা alorphot.blogspot.com
ভাইয়া আমি আমার আইডি থেকে মেসেজ দিব ইনশাআল্লাহ।
আমার আইডিMahmudul Hasan বা fb/m.mahmudulh