পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, সুরমার মতো কতো মিষ্টি মিষ্টি নদী আমাদের এই বাংলাদেশে জালের মতো ছড়িয়ে আছে। আর তাই তো আমাদের দেশ এত্তো সুন্দর! কিন্তু এসব নদী ছাড়াও যে পৃথিবীতে আরো অনেক বিশাল বিশাল আর ভীষণ সুন্দর সুন্দর সব নদী আছে, তা কি আপনারা জানেন? এসব নদী সম্পর্কে কিন্তু আমরা অনেক কিছুই জানি না। অনেক গুলোর নামও এমন, মনেই হয় না এগুলো নদীর নাম হতে পারে। কি? খুব কৌতূহল হচ্ছে? তাহলে চলেন, পরিচিত হয়ে আসি পৃথিবীর কয়েকটি বিস্ময়কর সুন্দর নদীর সঙ্গে।
আমাজনঃ
পৃথিবীর সবচেয়ে বিস্ময়কর নদী কোনটিকে বলা হয় জানেন? তার নাম আমাজন। দক্ষিণ আমেরিকায় অবস্থিত আমাজন পৃথিবীর দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী। আর চওড়ার দিক দিয়ে কিন্তু এটিই প্রথম। আন্দিজ পর্বতমালার যে অংশ ব্রাজিলে অবস্থিত, সেখান থেকেই এই নদীর উৎপত্তি। এরপর পেরু, ইকুয়েডর, বলিভিয়া, ভেনেজুয়েলার ভেতর দিয়ে এক লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে আমাজন শেষমেষ গিয়ে মিশেছে আটলান্টিক মহাসাগরে। আটলান্টিক মহাসাগরটিকে চিনেছেন তো? যে মহাসাগরে রহস্যময়ভাবে ডুবে গিয়েছিলো টাইটানিক।
নিশ্চয়ই আপনাদের আরো জানতে ইচ্ছে করছে নদীটি সম্পর্কে! তাহলে শোনেন, আমাজনের দৈর্ঘ্য প্রায় ৪০০০ মাইল। আর গড়ে প্রায় সাড়ে সাত মাইল প্রশস্ত। আমাজন যেখানে সাগরের সাথে মিলিত হয়েছে সেখানে তো এর প্রশস্ততা প্রায় ২০২ মাইল। শুনে অবাক হতে হয় বৈকি! আরো অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে, প্রতি সেকেন্ডে আমাজন থেকে প্রায় ৫৫ মিলিয়ন গ্যালন পানি সমুদ্রে গিয়ে পড়ছে, যার তোড়ে মোহনা থেকে প্রায় ১০০ মাইল পর্যন্ত সমুদ্রের পানিতে কোনো লবণাক্ততাই থাকে না। পৃথিবীর সব নদীগুলো একত্রে যে পরিমাণ পানি সমুদ্রে ফেলছে আমাজন একাই তার ২০ শতাংশ পানি বয়ে নিয়ে যাচ্ছে সমুদ্রে। আর এ কারণেই আমাজনকে অনেক সময় ডাকা হয় ‘সাগরনদী’ নামে। স্থানবিশেষে আমাজনের গভীরতা প্রায় ৩০০ ফুট। বর্ষাকালে প্রশস্ততা আরও বেড়ে যায়। নদীর দুই পাড় আর মাঝখানের দ্বীপগুলোও ডুবে যায় পানির নীচে।
এবার শোনেন কীভাবে নামকরণ করা হলো এ বিস্ময়কর নদীর। ‘আমাজন’ নদীটির নামকরণ করেছে স্প্যানিশরা। গ্রীক পুরাণে বর্ণিত সর্বকালের সবচেয়ে শক্তিশালী নারীরা হলেন ‘আমাজন’। আর তাদের নামেই নামকরণ করা হয়েছে প্রমত্তা এই নদীটির।
পৃথিবীর সবচেয়ে বিস্ময়কর নদী কোনটিকে বলা হয় জানেন? তার নাম আমাজন। দক্ষিণ আমেরিকায় অবস্থিত আমাজন পৃথিবীর দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী। আর চওড়ার দিক দিয়ে কিন্তু এটিই প্রথম। আন্দিজ পর্বতমালার যে অংশ ব্রাজিলে অবস্থিত, সেখান থেকেই এই নদীর উৎপত্তি। এরপর পেরু, ইকুয়েডর, বলিভিয়া, ভেনেজুয়েলার ভেতর দিয়ে এক লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে আমাজন শেষমেষ গিয়ে মিশেছে আটলান্টিক মহাসাগরে। আটলান্টিক মহাসাগরটিকে চিনেছেন তো? যে মহাসাগরে রহস্যময়ভাবে ডুবে গিয়েছিলো টাইটানিক।
এবার শোনেন কীভাবে নামকরণ করা হলো এ বিস্ময়কর নদীর। ‘আমাজন’ নদীটির নামকরণ করেছে স্প্যানিশরা। গ্রীক পুরাণে বর্ণিত সর্বকালের সবচেয়ে শক্তিশালী নারীরা হলেন ‘আমাজন’। আর তাদের নামেই নামকরণ করা হয়েছে প্রমত্তা এই নদীটির।
কঙ্গোঃ
এবারে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি আরেকটি অদ্ভুত নদীর সাথে। এর নাম ‘কঙ্গো’। মধ্য-পশ্চিম আফ্রিকায় অবস্থিত নদীটিকে আগে ডাকা হতো ‘জায়ারে’ নামে। পরে ‘জায়ারে’ দেশের নাম যেমন ‘কঙ্গো’ হয়ে গেল, তেমনি ‘জায়ারে’ নদীর নামও হয়ে গেলো ‘কঙ্গো’। এই নদীটিই কিন্তু পৃথিবীর সবচেয়ে গভীর নদী। এর সর্বোচ্চ গভীরতা প্রায় সাড়ে সাতশ ফুট। লম্বায়ও এটি নেহাত কম নয়। প্রায় ২৯২০ মাইল দীর্ঘ যা পৃথিবীর নবম দীর্ঘতম। আর পানি পরিবহনের দিক থেকে আমাজানের পরেই কঙ্গোর স্থান। অবশ্য কঙ্গোর পানি পরিবহনের ক্ষমতা আমাজানের এক পঞ্চমাংশ।
এবারে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি আরেকটি অদ্ভুত নদীর সাথে। এর নাম ‘কঙ্গো’। মধ্য-পশ্চিম আফ্রিকায় অবস্থিত নদীটিকে আগে ডাকা হতো ‘জায়ারে’ নামে। পরে ‘জায়ারে’ দেশের নাম যেমন ‘কঙ্গো’ হয়ে গেল, তেমনি ‘জায়ারে’ নদীর নামও হয়ে গেলো ‘কঙ্গো’। এই নদীটিই কিন্তু পৃথিবীর সবচেয়ে গভীর নদী। এর সর্বোচ্চ গভীরতা প্রায় সাড়ে সাতশ ফুট। লম্বায়ও এটি নেহাত কম নয়। প্রায় ২৯২০ মাইল দীর্ঘ যা পৃথিবীর নবম দীর্ঘতম। আর পানি পরিবহনের দিক থেকে আমাজানের পরেই কঙ্গোর স্থান। অবশ্য কঙ্গোর পানি পরিবহনের ক্ষমতা আমাজানের এক পঞ্চমাংশ।
নীলনদঃ
নীলনদের নাম তো আপনারা নিশ্চয়ই শুনেছেন। হ্যাঁ, সেই বিখ্যাত নীলনদ, যার তীরে গড়ে উঠেছিল সুপ্রাচীন মিশরীয় সভ্যতা। নীলনদ যে শুধুমাত্র ওই প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার জন্যই বিখ্যাত, তা নয়। এটি পৃথিবীর দীর্ঘতম নদীও বটে। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৪১৩২ মাইল। তাঞ্জানিয়ার ভিক্টোরিয়া হ্রদে নীলনদের জন্ম। এরপর আফ্রিকার প্রায় ১০টি দেশ ঘুরে শেষমেশ গিয়ে পড়েছে ভূমধ্যসাগরে। প্রাচীনকাল থেকেই নীলনদ আফ্রিকার মানুষের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নদী। আফ্রিকার বেশিরভাগ বসতিই গড়ে উঠেছে নীলনদের তীরেই। নীলনদের পানি দিয়েই তারা জমিতে ফসল ফলায়। শুধু তাই নয়, নৌ চলাচলের জন্যও নীলনদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পথ। শুনলে অবাক হবেন, শীতকালেও এখানে এতো জোরে বাতাস বয় যে, শুধুমাত্র পাল তুলেই যেকোনো নৌকা স্রোতের বিপরীতে চলতে পারে! তবেই বোঝেন, কী জোর সেই বাতাসের!
নীলনদের নাম তো আপনারা নিশ্চয়ই শুনেছেন। হ্যাঁ, সেই বিখ্যাত নীলনদ, যার তীরে গড়ে উঠেছিল সুপ্রাচীন মিশরীয় সভ্যতা। নীলনদ যে শুধুমাত্র ওই প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার জন্যই বিখ্যাত, তা নয়। এটি পৃথিবীর দীর্ঘতম নদীও বটে। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৪১৩২ মাইল। তাঞ্জানিয়ার ভিক্টোরিয়া হ্রদে নীলনদের জন্ম। এরপর আফ্রিকার প্রায় ১০টি দেশ ঘুরে শেষমেশ গিয়ে পড়েছে ভূমধ্যসাগরে। প্রাচীনকাল থেকেই নীলনদ আফ্রিকার মানুষের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নদী। আফ্রিকার বেশিরভাগ বসতিই গড়ে উঠেছে নীলনদের তীরেই। নীলনদের পানি দিয়েই তারা জমিতে ফসল ফলায়। শুধু তাই নয়, নৌ চলাচলের জন্যও নীলনদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পথ। শুনলে অবাক হবেন, শীতকালেও এখানে এতো জোরে বাতাস বয় যে, শুধুমাত্র পাল তুলেই যেকোনো নৌকা স্রোতের বিপরীতে চলতে পারে! তবেই বোঝেন, কী জোর সেই বাতাসের!
জাম্বেসিঃ
‘জাম্বেসি’ নামের কোনও নদীর কথা কি আপনারা কখনো শুনেছন? মোটামুটি অপরিচিত হলেও জাম্বেসি আফ্রিকার চতুর্থ বৃহত্তম এবং খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি নদী। আফ্রিকার দেশ জাম্বিয়া থেকে এর উৎপত্তি হয়েছে বলেই এর নাম দেয়া হয়েছে ‘জাম্বেসি’। ২২০০ মাইল লম্বা এ নদীটি এঙ্গোলা, বতসোয়ানা, জিম্বাবুয়ে, মোজাম্বিকসহ আফ্রিকার ৬টি দেশ ভ্রমণ করেছে। এরপর গিয়ে পড়েছে ভারত মহাসাগরে। বিশাল জাম্বেসি নদী কিন্তু বিখ্যাত অন্য কারণে। এই নদীটা যে কী সুন্দর! সে আর কী বলবো। ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাতের নাম শুনেছেন না? সেই যে, বিশ্বের সবচেয়ে প্রশস্ত জলপ্রপাত। সেটাও কিন্তু এই নদীতেই। এই জলপ্রপাতটির উচ্চতা প্রায় ৩৫০ ফুট আর চওড়ায় প্রায় ৫৭০০ ফুট। অনেক বিশাল, তাই না? আর মজার ব্যাপার কি জানেন? জলপ্রপাতের নিচে পানি এত্তো জোরে আছড়ে পড়ে, মনে হয় উপর থেকে পানি পড়ছে না, পড়ছে বজ্রপাত! আর তাই এর নামও দেয়া হয়েছে ‘বজ্রপাত সৃষ্টিকারী ধোঁয়া’। কী আজব ব্যাপার, তাই না? আর এটা তো জানেন যে, আফ্রিকাকে বলা হয় একটি ‘বৃহৎ চিড়িয়াখানা’। জাম্বেসি নদীর তীরবর্তী প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর বন্যপ্রাণীর সমাহার এতই সুন্দর, যে দেখলে মুগ্ধ না হয়ে পারা যায় না।
‘জাম্বেসি’ নামের কোনও নদীর কথা কি আপনারা কখনো শুনেছন? মোটামুটি অপরিচিত হলেও জাম্বেসি আফ্রিকার চতুর্থ বৃহত্তম এবং খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি নদী। আফ্রিকার দেশ জাম্বিয়া থেকে এর উৎপত্তি হয়েছে বলেই এর নাম দেয়া হয়েছে ‘জাম্বেসি’। ২২০০ মাইল লম্বা এ নদীটি এঙ্গোলা, বতসোয়ানা, জিম্বাবুয়ে, মোজাম্বিকসহ আফ্রিকার ৬টি দেশ ভ্রমণ করেছে। এরপর গিয়ে পড়েছে ভারত মহাসাগরে। বিশাল জাম্বেসি নদী কিন্তু বিখ্যাত অন্য কারণে। এই নদীটা যে কী সুন্দর! সে আর কী বলবো। ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাতের নাম শুনেছেন না? সেই যে, বিশ্বের সবচেয়ে প্রশস্ত জলপ্রপাত। সেটাও কিন্তু এই নদীতেই। এই জলপ্রপাতটির উচ্চতা প্রায় ৩৫০ ফুট আর চওড়ায় প্রায় ৫৭০০ ফুট। অনেক বিশাল, তাই না? আর মজার ব্যাপার কি জানেন? জলপ্রপাতের নিচে পানি এত্তো জোরে আছড়ে পড়ে, মনে হয় উপর থেকে পানি পড়ছে না, পড়ছে বজ্রপাত! আর তাই এর নামও দেয়া হয়েছে ‘বজ্রপাত সৃষ্টিকারী ধোঁয়া’। কী আজব ব্যাপার, তাই না? আর এটা তো জানেন যে, আফ্রিকাকে বলা হয় একটি ‘বৃহৎ চিড়িয়াখানা’। জাম্বেসি নদীর তীরবর্তী প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর বন্যপ্রাণীর সমাহার এতই সুন্দর, যে দেখলে মুগ্ধ না হয়ে পারা যায় না।
গঙ্গাঃ
আপনাদের একটা প্রশ্ন করি। বলেন তো, পদ্মা নদীর আরেকটা নাম কি? হ্যাঁ, ঠিক বলেছেন, পদ্মা নদীর আরেক নাম হলো গঙ্গা। হিমালয়ের দক্ষিণ দিক থেকে গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে উৎপন্ন হয়ে গঙ্গা নদী বয়ে গেছে চীন, ভারত আর নেপালের উপর দিয়ে। তারপর পদ্মা নাম নিয়ে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশে। প্রায় ১৫৬০ মাইল পাড়ি দিয়ে অবশেষে গিয়ে মিশেছে বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে।
হিন্দুদের কাছে এই গঙ্গা নদী কিন্তু খুবই পবিত্র। জানেন তো, হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা অনেক দেব দেবীর পূজা করে। গঙ্গা নদীও তাদের কাছে দেবীর মতই। এ নদীর নামই যে দেবী গঙ্গার নামে। আর তারা বিশ্বাস করে, এই দেবীর বুকে গোসল করলে তাদের সব পাপ ধুয়ে-মুছে যাবে। তাই তারা বহুদূর থেকে আসে এই নদীতে গোসল করে তাদের সব পাপ ধুয়ে ফেলতে। মারা গেলে মুসলিম কিংবা খ্রীস্টান ধর্মাবলম্বীরা যেরকম মৃতদের কবর দেয়, হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা মৃতদের পুড়িয়ে ফেলে। আর সেই ছাই অনেকেই আবার ভাসিয়ে দেয় গঙ্গার বুকে। ওদের ধারণা, এতে মৃত ব্যক্তির আত্মা সোজা স্বর্গে চলে যায়।
গঙ্গা নদীই কিন্তু বাংলাদেশে ঢুকে নাম নিয়েছে পদ্মা। আর এই পদ্মা নদী কি জন্য বিখ্যাত বলেন তো? হ্যাঁ, ইলিশ মাছের জন্য। পদ্মা নদীর ইলিশ মাছের যে স্বাদ, তা আর কোনো জায়গার ইলিশ মাছেই পাবেন না। শুধু তাই নয়, এই ইলিশ কিন্তু আবার গঙ্গা নদীতেও পাওয়া যায় না। ইলিশরাও কিভাবে যেন বুঝে গেছে, এটা পদ্মা, আর ওটা গঙ্গা!
কেমন লাগলো এতক্ষণ ধরে এতোসব ভীষণ সুন্দর সব নদ-নদীর গল্প শুনতে? ভালো লেগেছে নিশ্চয়ই। কিন্তু শুধু কি গল্প শুনলেই হবে? নদীগুলোতে ঘুরতেও তো যাওয়া চাই। কিন্তু তাই কি আর যাওয়া সম্ভব? এতোগুলো নদী ঘুরতে হলে কতোগুলো দেশে যেতে হবে একবার ভাবেন তো দেখি! তাই বলে মন খারাপ করে বসে থাকারও কোন দরকার নেই। আরে, আমাদের দেশে কি নদীর কোনো অভাব আছে! এতো ছোট্ট একটা দেশে এত্তোগুলো নদী পৃথিবীর আর কোন দেশে আছে শুনি? আমরা তো আমাদের দেশের নদীগুলোতেই ঘুরতে যেতে পারি, কি বলেন? কত্তো সুন্দর সুন্দর সব নদী রয়েছে আমাদের দেশে। সেসব নদী যেমনি সুন্দর, তেমনি ভয়ঙ্করও বটে। তাহলে আপনারা ঠিকঠাক করতে থাকেন, কবে কে কোন নদীতে ঘুরতে যাবেন।
লেখকঃ বাবু।
আপনাদের একটা প্রশ্ন করি। বলেন তো, পদ্মা নদীর আরেকটা নাম কি? হ্যাঁ, ঠিক বলেছেন, পদ্মা নদীর আরেক নাম হলো গঙ্গা। হিমালয়ের দক্ষিণ দিক থেকে গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে উৎপন্ন হয়ে গঙ্গা নদী বয়ে গেছে চীন, ভারত আর নেপালের উপর দিয়ে। তারপর পদ্মা নাম নিয়ে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশে। প্রায় ১৫৬০ মাইল পাড়ি দিয়ে অবশেষে গিয়ে মিশেছে বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে।
হিন্দুদের কাছে এই গঙ্গা নদী কিন্তু খুবই পবিত্র। জানেন তো, হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা অনেক দেব দেবীর পূজা করে। গঙ্গা নদীও তাদের কাছে দেবীর মতই। এ নদীর নামই যে দেবী গঙ্গার নামে। আর তারা বিশ্বাস করে, এই দেবীর বুকে গোসল করলে তাদের সব পাপ ধুয়ে-মুছে যাবে। তাই তারা বহুদূর থেকে আসে এই নদীতে গোসল করে তাদের সব পাপ ধুয়ে ফেলতে। মারা গেলে মুসলিম কিংবা খ্রীস্টান ধর্মাবলম্বীরা যেরকম মৃতদের কবর দেয়, হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা মৃতদের পুড়িয়ে ফেলে। আর সেই ছাই অনেকেই আবার ভাসিয়ে দেয় গঙ্গার বুকে। ওদের ধারণা, এতে মৃত ব্যক্তির আত্মা সোজা স্বর্গে চলে যায়।
গঙ্গা নদীই কিন্তু বাংলাদেশে ঢুকে নাম নিয়েছে পদ্মা। আর এই পদ্মা নদী কি জন্য বিখ্যাত বলেন তো? হ্যাঁ, ইলিশ মাছের জন্য। পদ্মা নদীর ইলিশ মাছের যে স্বাদ, তা আর কোনো জায়গার ইলিশ মাছেই পাবেন না। শুধু তাই নয়, এই ইলিশ কিন্তু আবার গঙ্গা নদীতেও পাওয়া যায় না। ইলিশরাও কিভাবে যেন বুঝে গেছে, এটা পদ্মা, আর ওটা গঙ্গা!
কেমন লাগলো এতক্ষণ ধরে এতোসব ভীষণ সুন্দর সব নদ-নদীর গল্প শুনতে? ভালো লেগেছে নিশ্চয়ই। কিন্তু শুধু কি গল্প শুনলেই হবে? নদীগুলোতে ঘুরতেও তো যাওয়া চাই। কিন্তু তাই কি আর যাওয়া সম্ভব? এতোগুলো নদী ঘুরতে হলে কতোগুলো দেশে যেতে হবে একবার ভাবেন তো দেখি! তাই বলে মন খারাপ করে বসে থাকারও কোন দরকার নেই। আরে, আমাদের দেশে কি নদীর কোনো অভাব আছে! এতো ছোট্ট একটা দেশে এত্তোগুলো নদী পৃথিবীর আর কোন দেশে আছে শুনি? আমরা তো আমাদের দেশের নদীগুলোতেই ঘুরতে যেতে পারি, কি বলেন? কত্তো সুন্দর সুন্দর সব নদী রয়েছে আমাদের দেশে। সেসব নদী যেমনি সুন্দর, তেমনি ভয়ঙ্করও বটে। তাহলে আপনারা ঠিকঠাক করতে থাকেন, কবে কে কোন নদীতে ঘুরতে যাবেন।
লেখকঃ বাবু।
0 comments:
Post a Comment