Free Tips and Trick

January 24, 2017

বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং-এর জীবনী। পড়ে নিন কাজে লাগবে।

বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং-এর জীবনী
সিএইচ, সিবিই, এফআরএস,
পিএইচডি (ইংরেজি: Stephen William
Hawking; জন্ম: জানুয়ারি ৮, ১৯৪২) বিশিষ্ট
ইংরেজ তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী ও
গণিতজ্ঞ হিসেবে বিশ্বের সর্বত্র
পরিচিত ব্যক্তিত্ব। তাঁকে বিশ্বের
সমকালীন তাত্ত্বিক পদার্থবিদদের
মধ্যে অন্যতম হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
হকিং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে
লুকাসিয়ান অধ্যাপক (স্যার আইজ্যাক
নিউটনও একসময় এই পদে ছিলেন)
হিসেবে ১ অক্টোবর, ২০০৯
তারিখে অবসর নেন। এছাড়াও
তিনি কেমব্রীজের
গনভিলি এবং কেয়াস কলেজের
ফেলো হিসাবে কর্মরত আছেন।
শারীরিকভাবে ভীষণরকম অচল
এবং এ.এল.এসের (এমায়োট্রফিক
ল্যাটারাল স্ক্লেরোসিস বা লাউ
গেহরিগ রোগ - যা একপ্রকার মোটর
নিউরন রোগ) জন্য ক্রমাগতভাবে সম্পূর্ণ
অথর্বতার দিকে ধাবিত হওয়া সত্ত্বেও
বহু বছর যাবৎ তিনি তাঁর
গবেষণা কার্যক্রম সাফল্যের
সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছেন।
পদার্থবিজ্ঞানে হকিংয়ের
দুইটি অবদানের
কথা সবচেয়ে বেশি স্বীকৃত। প্রথম
জীবনে সতীর্থ রজার পেনরাজের
সঙ্গে মিলে সাধারণ আপেক্ষিকতায়
সিংগুলারিটি সংক্রান্ত তত্ত্ব।
হকিং প্রথম অনিশ্চয়তার তত্ত্ব ব্ল্যাক
হোল-এর ঘটনা দিগন্তে প্রয়োগ
করে দেখান যে ব্ল্যাক হোল
থেকে বিকিরিত হচ্ছে কণা প্রবাহ। এই
বিকরণ এখন হকিং বিকিরণ
নামে (অথবা কখনো কখনো বেকেনস্টাইন-
হকিং বিকিরণ) অভিহিত। প্রায় ৪০ বছর
ধরে হকিং তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞানের
চর্চা করছেন। লিখিত পুস্তক
এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাজির
থেকে হকিং একাডেমিক জগতে যথেষ্ট
খ্যাতিমান হয়ে উঠেছেন। তিনি রয়েল
সোসাইটি অব আর্টসের সম্মানীয়
ফেলো এবং পন্টিফিকাল
একাডেমি অব সায়েন্সের আজীবন সদস্য।
বিজ্ঞান সর্ম্পকে টুকটাক
ধারণা রাখেন এমন
কাউকে যদি কয়েকজন
পর্দাথবিজ্ঞানীর নাম বলতে বলা হয়
স্টিফেন হকিং এর নাম তার
মধ্যে থাকবেই। সকল শারীরিক
বাধা উপেক্ষা করেও যার মস্তিষ্ক
করে যাচ্ছে নানা বৈজ্ঞানিক
চিন্তা ভাবনা।
তার বিখ্যাত বই “A Brief History of Time ”
এবং তার সর্বশেষ বই "The Grand Design" ...
আসুন জেনে নেই তার
সর্ম্পকে অজানা কিছু তথ্য।
(১) জন্মঃ তাঁর জন্ম হয় ১৯৪২ সালের ৮
জানুয়ারি। যা গ্যালিলিও এর জন্মের
ঠিক ৩০০ তম মৃত্যুবার্ষিকীর দিন।
(২) স্কুলে ছিলেন খারাপ ছাত্রঃ যখন
তার বয়স ছিল নয় বছর তখন তিনি ছিলেন
ক্লাসের সর্বশেষ মেধাক্রমের ছাত্র
অর্থাৎ পেছনের দিক থেকে প্রথম।
(সূত্রঃ লার্সেন)
(৩) ডাক নাম ছিলো আইনস্টাইনঃ যদিও
পরীক্ষায় কম পেতেন তবুও তাঁর বুদ্ধির
তীব্রতায় শিক্ষকদের কাছে ছিলেন
অত্যন্ত প্রিয়। বিজ্ঞান সর্ম্পকে আগ্রহের
কারণে শিক্ষক আর বন্ধুরা আদর
করে ডাকতেন আইনস্টাইন।
(৪) অক্সফোর্ডে চান্স পাওয়াঃ বাবার
ইচ্ছে ছিলো ছেলে ডাক্তারি পড়বে নয়তো অক্সফোর্ডে পড়বে অথচ
টাকা ছিলো না। স্টিফেন হকিং তাই
অংশগ্রহণ করলেন স্কলারশিপ পরীক্ষায়
এবং টিকেও গেলেন সফলতার স্বাক্ষর
রেখে।
(৫) বেছে নিলেন
কসমোলোজিঃ ছোটোবেলা থেকে প্রচন্ড
আগ্রহ ছিলো গণিতে অথচ
অক্সফোর্ডে এসে বেছে নিলেন
ফিজিক্সের একটি অপ্রচলিত
শাখা কসমোলজি।
(৬) ছিলেন রেসিং বোট টিমের
সদস্যঃ আত্মজীবনী লেখক ক্রিস্টিন
লার্সেন এর ভাষ্যমতে স্টিফেন
হকিং ভার্সিটি জীবনের প্রথম
দিকে ছিলেন অনেক বেশি নিঃসঙ্গ।
তাই হয়তো একাকীত্ব দূর করতেই যোগ
দিয়েছিলেন কলেজের বোট
রেসিং টিমে। সবচেয়ে মজার
কথাটি হলো তাঁর দায়িত্ব ছিল রেসের
সময় নৌকার হাল ধরে রাখা এবং এই
কাজটি তিনি এতো সফলতার
সাথে করেছিলেন যে অল্পকিছুদিনেই
হয়ে উঠেছিলেন
পুরো অক্সর্ফোডে বিপুল জনপ্রিয়।
সপ্তাহে ছয়দিন সন্ধ্যায় প্র্যাকটিস
করতে হতো বোট চালানোর । যা তার
পড়ালেখায় মনোযোগের ব্যাঘাত
ঘটাচ্ছিল।
(৭) প্রণয় ও পরিণয়ঃ গ্রাজুয়েশন শেষ
করে ক্রিসমাসের
ছুটিতে বাড়ি আসতেই তার পরিবারের
সদস্যরা তার অসুস্থতার বিষয়টি খেয়াল
করেন। সেই সময়ই নিউ ইয়ার
পার্টিতে দেখা হয় জেনির সাথে।
তার একুশ সপ্তাহ পর যখন ডাক্তারের
পরীক্ষায় তিনি জানতে পারলেন
তিনি ল্যাটেরাল স্ক্লেরেওসিস এ
আক্রান্ত। তখন তার ধৈর্য্যের বাঁধ
ভেঙে যায় কারণ তাকে বলা হয় তার
বেঁচে থাকার সময়মাত্র কয়েকবছর। কিন্তু
সেখানে লিউকেমিয়ায় মরনাপন্ন এক
শিশুকে দেখে তিনি ফিরে পান
বেঁচে থাকার প্রেরণা। তাই
জেনিকে নিয়ে শুরু হয় প্রণয় জীবনের।
(৮) সবচেয়ে বড় আবিষ্কারঃ ১৯৮৩
সালে জিম হার্টলের সাথে আবিষ্কার
করেন মহাবিশ্বের আকার
আকৃতি সর্ম্পকে অজানা তথ্য।
(৯) লিখেছিলেন ছোটোদের বইঃ ২০০৭
সালে স্টিফেন হকিং তার
মেয়ে লুসি হকিং এর
সাথে মিলে লিখেছিলেন
ছোটোদের বই “George’s secret Key to the
Universe” যা জর্জ নামের
ছোটো বালকের কাহিনী কিন্তু
যাতে রয়েছে ব্ল্যাকহোলসহ
নানা বৈজ্ঞানিক ধারণা। ২০০৯
সালে বের হয়েছে এই বইয়ের
পরবর্তী পর্ব।
ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত
Share:

0 comments:

Post a Comment

Copyright © Fibd - Tips & Trick Sharing BD | Powered by Blogger